ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানে ৩৪০ জনের মৃত্যু


পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৪০ জনে পৌঁছেছে। দেশটির বিভিন্ন জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুন জেলা, যেখানে আরও প্রাণহানি ঘটেছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) পর্বতাঞ্চলে পর্যটন সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে। এনডিএমএ-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বর্ষাকালের ২৬ জুন থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৬৪৫। এদের মধ্যে সর্বাধিক প্রাণহানি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে (৩৮৩ জন) এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ১৬৪ জনের।
গত ৪৮ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাত, বুনের, বাজুর, তোরঘার, মানসেরা, শাংলা এবং বাত্তাগ্রাম জেলায় প্রবল পাহাড়ি স্রোত বহু মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এনডিএমএ ওই অঞ্চলে ৩১২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে গিলগিত-বাল্টিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীরেও যথাক্রমে ৯ ও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডে জানায়, উদ্ধারকারীরা নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষ ও পর্যটকদের উদ্ধার করতে কাজ করেছেন। অ্যাম্বুল্যান্স মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে এনডিএমএ বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বর্ষার তীব্রতার কারণে পর্বতাঞ্চলে পর্যটন সীমিত করার পরামর্শ জারি করেছে।
পৃথকভাবে, খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রশাসন বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলিতে ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা কার্যকর থাকবে।
