বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • গর্ভবতী নারী কর্মকর্তাকে রাঙামাটিতে বদলি: বেতারের ডিজির বিরুদ্ধে ‘অমানবিকতা’র অভিযোগ আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম মেন্ডিসের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের আশা যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাঝে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ: মালয়েশিয়া ফেরত চারজন ৪ দিনের রিমান্ডে অভিষেকেই চমক, এশিয়া কাপে সুপার ফোরে বাংলাদেশ প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচার’ বৃদ্ধি পাচ্ছে: রিজভী গাজায় প্রাণঘাতী হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু চাকরি হারানোর আতঙ্কে রাজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
  • জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ: মালয়েশিয়া ফেরত চারজন ৪ দিনের রিমান্ডে

    জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ: মালয়েশিয়া ফেরত চারজন ৪ দিনের রিমান্ডে
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো চার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এই আদেশ দেন। এর আগে, তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

    এর আগে, মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের ইন্সপেক্টর কে. এম তারিকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, মালয়েশিয়া সরকার তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে পাসপোর্ট ব্ল্যাকাউড করে দেশে পাঠিয়ে দেয়। তাই দেশের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেজন্য তাদের সাথে কোনো ধরনের জঙ্গি সংশ্লিষ্ট আছে কিনা, তা জানতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।  

    পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত বলেন, জড়িত বা জড়িত নয়–এটার জন্য সুষ্ঠু তদন্ত দরকার। এটা একটা দেশের সাথে আরেকটা দেশে সম্পর্কের বিষয়। তাই আদালত সব দিক বিবেচনা করে অভিযুক্তদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

    এর আগে মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে গত ৫ জুলাই এ মামলা করেন।

    মামলার আসামিরা হলেন, নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা। 

    মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধামে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার-প্ররোচণা চালিয়ে আসছিল। আসামিরা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সে দেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন। পরে সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা দিতো।

    অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার আসামিদের মালয়েশিয়ান পুলিশ পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আসামিরা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা, জনসাধারণের কোনো অংশে আতঙ্ক সৃষ্টি উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যে কোনো সময় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।

    উগ্র জঙ্গি আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয়মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার ৩৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম ও জোহর বারুতে সেশন কোর্টে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বাকি ৩১ জনের মধ্যে ১৫ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, আর বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে—তাঁদের এই চরমপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মালয়েশিয়া জঙ্গি সম্পৃক্ততায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখন ফিরতি জবাবের অপেক্ষা।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন