শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

তার হৃদয়ে ছিল গভীর ব্যথা

তার হৃদয়ে ছিল গভীর ব্যথা
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

বাতাসের কোমল স্পর্শে, সন্ধ্যার আবেশে, অথবা আকাশের নীল রঙে, এক অদৃশ্য অভ্যন্তরীণ কষ্ট তার হৃদয়ে লুকানো ছিল। কিছুটা অস্বস্তি, কিছুটা নিষ্ঠুর নিঃসঙ্গতা—যে কষ্ট তার চেহারার মাঝে প্রতিফলিত হয়নি, কিন্তু অন্তরে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। সে কষ্ট ছিল এতই তীব্র, এতই চাপ, যে প্রতিটি মুহূর্তে তার শরীর ও মন একে বহন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।

তাকে দেখে কখনো মনে হতো, সে একটি ভাঙা পাত্র, যার গা থেকে একটুকরো ভাঙা কাচ বেরিয়ে গেছে—তবুও, সে আশেপাশে কেউ জানে না, কেউ বুঝে না। হাসি, গল্প, চলাফেরা—সবই ছিল বাহ্যিক অভিনয় কিন্তু তার গভীর হৃদয়ে এক অদৃশ্য ব্যথার উৎস ছিল যা শুধুমাত্র তারই জানার। তার চোখে যে কোনো এক অজানা বেদনা লুকানো, সে কষ্ট যেন এক ভোরের অন্ধকার, কখনো উজ্জ্বল হয় না, কখনো তাকে আলোকিত করার প্রার্থনা থাকে না।

তার মন অগণিত প্রশ্নে ভরা ছিল। কেন এই কষ্ট? কেন এত ব্যথা? তার আশেপাশের সব কিছু যেন এক মিথ্যা দৃশ্য, একটি গেম যা সে আর খেলতে চায় না। কখনো মনে হতো, তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত—সব কিছু থেকে পালিয়ে যেতে। কিন্তু সে জানত, তার হৃদয় থেকে এ কষ্ট একদিন চলে যাবে না। বরং সে এই কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবনের গভীরতম সত্যের সন্ধান করছিল, সেগুলো বোঝার চেষ্টা করছিল। জীবন যেভাবে তাকে কিছু শেখাতে চায়, সে বুঝতে চেষ্টা করছিল।

তবে, তার ব্যথার গভীরতা, তার একাকীত্ব, সবই এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অসম্পূর্ণ কাহিনীর মতো। এ কষ্ট ছিল তার জীবনের এক অংশ, যা কোন না কোনভাবে তাকে কিছু বলেছিল—তার জীবন, তার সংগ্রাম, তার অনুভূতিগুলো একত্রিত হয়ে এক অমোচনীয় স্মৃতি তৈরি করছে।

সে জানত, তার হৃদয়ে যে ব্যথা রয়েছে, তা একদিন হয়তো ধীরে ধীরে সেরে উঠবে, হয়তো নয়ও। কিন্তু তবুও, সে ব্যথাকেই তার জীবনের অমূল্য শিক্ষায় পরিণত করেছিল। কারণ ব্যথা ছাড়া, জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য কখনোই বোঝা যায় না—এটা তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।

অতএব, তার হৃদয়ে গভীর একটি ব্যথা ছিল, যা কখনো চেহারায় ফুটে উঠত না, কিন্তু তার সঙ্গী হয়ে চলত সারাজীবন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ

আরও পড়ুন