সরকারি মাদ্রাসার শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের অঙ্গীকার শিক্ষ উপদেষ্টার


ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ২৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সময় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার বলেছেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। লাখ লাখ শিক্ষার্থী এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি আরও জানান, আমরা চাই এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক, যুগোপযোগী এবং বাস্তবমুখী রূপে গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্যে যুক্তিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞানচর্চা ও ধর্মবিদ্যা একসাথে ছিল। আমরা চাই এই ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষার একটি সমন্বিত রূপ তৈরি করতে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই মাদ্রাসা শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু থাকবে, তবে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে আধুনিক শিক্ষার উপাদানগুলো সংযোজন করতে হবে। এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।”
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের (এলামনাই) সম্পৃক্ততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এলামনাইদের অংশগ্রহণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতিতে অবদান রাখতে।”
এ সময় শিক্ষক সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, বিশুদ্ধ পানি ও পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “২৪৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাকে আরও আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। এটি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জ্ঞানের ধারক।”
ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “সমাজে বিভেদ নয়, সহমর্মিতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাই আমাদের পথপ্রদর্শক হবে। ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে আমরা উন্নত ও কর্মক্ষম নাগরিক হিসেবে দেশ ও সমাজে অবদান রাখতে পারব।”
