শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি: শ্রেণি কক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে এবি পার্টি নির্বাচন সূচনায়, ১০৯ আসনের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত আর্জেন্টিনা দলের গর্বিত স্পন্সর হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ওয়ালটন হতাশা ভুলে নতুন উদ্দীপনায় ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বললেন, শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ স্কোয়াডে নতুন সম্ভাবনার সন্ধান ঢাকায় গ্রেপ্তার ওবায়দুল কাদেরের ভাই শাহাদাত কাদের ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে নির্বাচনি প্রচারণায় ইসির ৭ নির্দেশনা আজ ‘মার্চ টু যমুনা’: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি
  • ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থের বর্তমান রূপ: তাওরাত না কিছু ভিন্ন?

    ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থের বর্তমান রূপ: তাওরাত না কিছু ভিন্ন?
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ইহুদিরা নিজেদের হযরত মূসা (আ.)-এর অনুসারী হিসেবে দাবি করে এবং বিশ্বাস করে যে, আখেরাতে জান্নাত শুধু তাদের জন্যই নির্ধারিত। তারা বলে, তাদের ধর্মগ্রন্থই সেই তাওরাত, যা সিনাই পর্বতে আল্লাহ তাআলা মূসা (আ.)-এর ওপর নাজিল করেছিলেন। তবে প্রশ্ন হলো—আজকের দিনে তারা আদৌ কি সেই আসল তাওরাত অনুসরণ করছে, নাকি পরবর্তীকালে রচিত ও সংকলিত তালমুদকেই তাদের ধর্মীয় পথনির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করেছে?

    ইসলামি দৃষ্টিকোণ ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ বলছে, ইহুদিরা সেই আসমানি তাওরাত থেকে অনেক আগেই বিচ্যুত হয়েছে। কুরআনের ভাষায়, তারা আল্লাহর বাণী শুনে জেনে-বুঝে বিকৃত করেছে। সূরা বাকারা ও সূরা মায়িদার আয়াতগুলোয় আল্লাহ তাআলা তাদের এই বিকৃতির কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। এমনকি সহীহ বুখারীর একটি হাদীসে পাওয়া যায়, এক ইহুদি দম্পতির ব্যভিচারের ঘটনায় তারা নিজেদের তাওরাতে থাকা রাজমের নির্দেশ লুকাতে চেয়েছিল।

    আসমানি কিতাব তাওরাত ছিল বনী ইসরাঈলকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য নাজিলকৃত এক পথনির্দেশ। মূলত এটি ছিল হিব্রু ভাষায় রচিত, যার অর্থ "দিকনির্দেশনা" বা "আইন"। বর্তমান ইহুদিরা যাকে “তোরা” বলে মানে, সেটি আসল তাওরাত নয়—বরং বহু শতাব্দী পর সংকলিত পঞ্চপুস্তকের একটি রূপ। এই পাঁচটি গ্রন্থ হলো—বেরেশীত (আদি পুস্তক), সেমত (যাত্রা), ভাইকরা (লেবীয়ক), বামিদবার (গণনা), এবং দেভারিম (দ্বিতীয় বিবরণ)। ইতিহাসবিদদের মতে, এই বইগুলো মূসা (আ.)-এর মৃত্যুর প্রায় ১,১০০ বছর পর রচিত হয়, অর্থাৎ ঈসা (আ.)-এর আগমনের প্রায় ৪৪৪ বছর আগে।

    এখনকার ইহুদিরা শুধু এই বিকৃত তাওরাত নয়, বরং “তালমুদ” নামে আরেকটি গ্রন্থকেও তাদের ধর্মীয় বিধানের ভিত্তি হিসেবে মানে। তালমুদ আসলে বিভিন্ন ইহুদি পণ্ডিতের মতামত, ব্যাখ্যা, ও বিচারসংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সংকলন, যার দুটি সংস্করণ আছে—*বাবলি তালমুদ (ব্যাবিলন)* এবং *ইরুশালমি তালমুদ (জেরুজালেম)*। যদিও ইহুদিরা বলে এটি তাওরাতের ব্যাখ্যা, বাস্তবে এতে রয়েছে বহু কল্পকাহিনী ও ধর্মবিরোধী ধারণা। উদাহরণস্বরূপ, সেখানে এমন দাবিও করা হয়েছে যে, “হযরত ইয়াকুব (আ.) একবার আল্লাহর সঙ্গে মল্লযুদ্ধে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন”—নাউযুবিল্লাহ!

    আজকের ইহুদি সমাজ মুখে বলে তারা মূসা (আ.)-এর অনুসারী, কিন্তু বাস্তবে তারা তার শিক্ষা ও আদর্শ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্যুত। তারা তাওরাত বিকৃত করেছে, নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অস্বীকার করেছে, আর নিজেদের বানানো তালমুদকেই এখন “পবিত্র কিতাব” হিসেবে মানছে।

    তাদের এই আত্মপ্রবঞ্চনা ও বিকৃত বিশ্বাস প্রমাণ করে, প্রকৃত তাওরাত আজ আর তাদের কাছে নেই। যে কিতাব আজও বিকৃতি থেকে অক্ষত, সেটি একমাত্র আল-কুরআন—আর সত্য নবীর অনুসরণ কেবল নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর পথেই সম্ভব। যাদের অন্তরে আল্লাহভীতি নেই, তারা কখনোই হেদায়াতের পথে ফিরে আসবে না—এটাই চূড়ান্ত বাস্তবতা।


    দৈএনকে/ জে,আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন