হঠাৎ প্রয়াত রাতুল, উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


প্রখ্যাত অভিনেতা নায়ক জসীমের ছেলে এবং ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রোববার (২৭ জুলাই) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডটির গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম।
এ কে রাতুল দেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে একজন প্রতিভাবান শিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের মাধ্যমে শ্রোতাদের মাঝে তিনি যেমন ছিলেন জনপ্রিয়, তেমনি ব্যাকস্টেজে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও রেখে গেছেন তাঁর দক্ষতার ছাপ।
রাতুলের এমন অকালমৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার সহশিল্পী ও ভক্তরা। কারণ একদিন আগেও সম্পূর্ণ সুস্থ-স্বাভাবিক ছিলেন তিনি।
প্রতিদিনের ন্যায় রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরেও রাজধানীর উত্তরার একটি জিমে ব্যায়াম করছিলেন এই গায়ক। সেখানেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাৎক্ষণিক তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে নেওয়া হয়। আইসিইউতে রেখেও আর ফেরানো যায়নি এই গায়ককে। অল্প বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নায়কপুত্র।
নায়ক জসিমের তিন ছেলের একজন রাতুল। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তারা, কাজ করেছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে।
মাত্র একদিন আগেই ভাই এ কে রাহুলের সঙ্গে ফেসবুকে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল রাতুলকে। যেখানে রাহুল মোহাম্মদপুর থানার ওসির একটি মন্তব্য নিয়ে তৈরি করা ফটোকার্ড শেয়ার করেন।
সেই ফটোকার্ডে এক সাংবাদিকের উদ্দেশে মোহাম্মদপুর থানার ওসির মন্তব্য ছিল, আমি ওসি হয়েও এই কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!
ওই পোস্টের কমেন্টেই ভাইকে উদ্দেশ্য করে রাতুলকে বলতে শোনা যায়, নোকিয়া ১১০০ সবার জন্য দেখ তাহলে একটা করে!
জবাবে রাহুল বলেন, ওইটা দিয়ে তো মাথায় বাড়ি দিলে আরও সহজে ছিনতাই হবে।
দুই ভাইয়ের এই খুনসুটি দেখেও এখন আবেগে ভাসছেন ভক্তরা। অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলছেন, মাত্র একদিন আগেও সুস্থ-সবল মানুষটা এখন দুনিয়াতেই নেই!
শ্রোতাদের মধ্যে ওন্ড ব্যান্ডের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে ইপি ‘এইটটিন’।
রাতুল অন্য ব্যান্ডেও কাজ করেন। তিনি অর্থহীনের ফিনিক্সের ডায়েরি-১–এর সাউন্ডের কাজ করেছেন। রাতুল প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের মেজ ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে এ কে রাতুলও সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত, তিনি ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন। আরেক ভাই এ কে সামী একজন ড্রামার।
রাতুলের বাবা ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় নায়ক জসীম মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মারা যান। মৃত্যুর দুই যুগ পরও ভক্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে খলনায়ক থেকে নায়ক বনে যাওয়া জসীমের।
দৈএনকে/জে, আ
