সড়ক নয়, দুর্ভোগের নাম নবীনগরের শ্যামগ্রাম-সলিমগঞ্জ সড়ক, সংস্কারের দাবি


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্যামগ্রাম-সলিমগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী ও যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কুলাশিং থেকে দেবদারু মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের ভাঙাচোরা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এ পথে যাতায়াত এখন যেন এক আতঙ্কের নাম। প্রতিদিনই এই সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা এবং যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে নানা ধরনের ভোগান্তি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বহুদিন ধরে সড়কটির সংস্কারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর এ পথ দিয়ে যাতায়াত যেন এখন এক কঠিন পরীক্ষার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইব্রাহিমপুর পালবাড়ি বাজার এলাকার এক সিএনজি চালক মুসা মিয়া বলেন,
"আমি প্রতিদিনই কোনাঘাট মোড় থেকে সলিমগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। পেটের দায়ে এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয়, কিন্তু প্রতিদিনই শরীরে ব্যথা নিয়ে বাসায় ফিরি। গাড়ির সামনের চাকায় ধাক্কা খেয়ে গ্যাসলাইন প্রায়ই ফেটে যায়—ক্ষতির শেষ নেই।"
স্থানীয় মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিয়া সুলতানা বলেন,
"স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আমরা প্রচণ্ড সমস্যার মুখোমুখি হই। বিশেষ করে বর্ষাকালে কাদায় পা পিছলে পড়ি, জামা-কাপড় ভিজে যায়। মাঝে মাঝে আঘাতও পাই।"
স্থানীয় শিক্ষক ও সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বলেন, "এই সড়কটি শুধু একটি রাস্তা নয়, এটি নবীনগরের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের জীবনরেখা। শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক—সবার জন্যই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বছরের পর বছর সড়কটি সংস্কার না হওয়া চরম অবহেলার পরিচায়ক। অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়বে।"
এলাকাবাসীর মতে, প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। অথচ দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও জনদুর্ভোগ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
তাদের জোরালো দাবি, "অবিলম্বে শ্যামগ্রাম-সলিমগঞ্জ সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কাজ শুরু করা হোক। অন্যথায় এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”
দৈএনকে/জে, আ
