এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, জানা যাবে যেভাবে


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই প্রকাশিত হবে। সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলো ওইদিন দুপুর ২টায় একযোগে ফল প্রকাশ করবে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তিনভাবে শিক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এবং নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে নিজেদের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ব্যক্তিগত ফল জানতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, তারা নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফলাফল জানতে পারবেন। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে নির্ভুলভাবে ফল জেনে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয়ত, ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করে ফল জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে লিখতে হবে এসএসসি> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর> রোল নম্বর> পরীক্ষার সাল। এরপর তা পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ-ঢাকা বোর্ডের একজন পরীক্ষার্থীকে লিখতে হবে SSC> DHA> Roll Number>2025। এটি পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। তিনি ঢাকা বোর্ডেরও চেয়ারম্যান।
ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ফলাফল পুরোপুরি প্রস্তুত। টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও সব যাচাই শেষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় একযোগে ফল ঘোষণা করা হবে।’
এসএসসির ফল প্রকাশের পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে নির্ধারিত নিয়ম মেনে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC <স্পেস> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড এবং পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক বিষয়ের কোড লিখতে হলে কমা (,) দিয়ে আলাদা করতে হবে। যেমন—১০১,১০২।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন।
যদিও পরীক্ষার প্রথম দিনেই সারাদেশের ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন ২৬ হাজার ৯২৮ জন পরীক্ষার্থী। পরে এ অনুপস্থিতির সংখ্যা আরও বেড়েছিল। সবমিলিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী।
