ছয় মাসে ১,১৯১টি মোবাইল কোর্ট, ২৫ কোটি টাকা জরিমানা, ৬৯৯টি ইটভাটা বন্ধ


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিচালিত দূষণবিরোধী অভিযান দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মোট ১ হাজার ১৯১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ও নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিচালিত এই অভিযানে মোট ২ হাজার ৮৪৬টি মামলা দায়ের করে ২৫ কোটি ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানকালে অতিমাত্রায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সীসা-ব্যাটারী রি-সাইক্লিং কারখানা, টায়ার পাইরোলাইসিস ইউনিট এবং খোলা জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ৪৮৩টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ, ২১৬টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশ, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস, ৯১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সীসা গলানোর ৮টি ট্রাক সরঞ্জাম জব্দ এবং ৬টি কারখানা বন্ধ, ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত ৪৭৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৯০৪টি প্রতিষ্ঠানে ৬৭ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দ করা হয় প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৭ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন।
১০ জুলাই ঢাকা মহানগরের মিরপুর ও কিশোরগঞ্জে শব্দদূষণ বিরোধী মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এতে ৬টি মামলায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইদিনে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী কিশোরগঞ্জে ১টি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৭.৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ও পাবনা জেলায় ২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘনের কারণে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও আরও কঠোরভাবে অব্যাহত থাকবে।
