শান্তির নোবেল ট্রাম্পের প্রাপ্য—মনোনয়ন দিলেন নেতানিয়াহু


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে তুলে দেন। নেতানিয়াহুর মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের অবদান এই সম্মাননার যোগ্য।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে দুজনের বৈঠকের শুরুতে নেতানিয়াহু নিজ হাতে ট্রাম্পকে মনোনয়নের একটি চিঠি তুলে দেন।
পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করছে, এমন দেশগুলো খুঁজে বের করতে, যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।”
যদিও নেতানিয়াহুর এই মনোনয়ন যথাযথভাবে গৃহীত হয়েছে কিনা বা নোবেল কমিটি তা বিবেচনায় নিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংকটের প্রেক্ষাপটে নেতানিয়াহুর এই ঘোষণাকে রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে, বিশেষ করে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে।
ট্রাম্প প্রশাসন পূর্বে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল।
প্রসঙ্গত, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সাধারণত আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টায় অনন্য অবদানের ভিত্তিতে মনোনয়ন বিবেচনা করা হয়।
