রাজধানীতে শিক্ষার্থীসহ দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় খিলগাঁওয়ের তিলপাড়া ও বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় এক শিক্ষার্থীসহ দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৬ জুলাই) সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন, আনিসা আক্তার লাইজু (২১) ও ইয়াসমিন আক্তার রিমা (২৯)।
খিলগাঁও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন জানান, আমরা খবর পেয়ে খিলগাঁও তিলপাড়ার একটি বাসা থেকে আনিসা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, আমরা জানতে পেরেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেন আনিসা আক্তার। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের বাবা মুজিবুর রহমান জানান, আমার মেয়ের দেড় মাস আগে ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আমার মেয়ে তেজগাঁও মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আমরা জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার মেয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার সাহাপুর গ্রামে। বর্তমানে আমার মেয়ে খিলগাঁও তিলপাড়ার ১৯ নম্বর রোডের ৪৯/ ১ নম্বর বাসায় স্বামী ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে থাকতো।
এদিকে, বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকিয়া সোমা জানান, আমরা খবর পেয়ে আনন্দনগর এলাকার একটি টিনশেড বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, আমরা পরিবারে সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ইয়াসমিন একটা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহত বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার হযরত বাইতগাতি এলাকার মমিনুল হকের মেয়ে।
এন কে/বিএইচ
