যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ


মার্কিন হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৮৬ বছর বয়সী খামেনি তেহরানের ইমাম খোমেইনি মসজিদে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শিয়া মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এই আয়োজনে তিনি কালো পোশাক পরে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি কোনো বক্তব্য না দিলেও তার উপস্থিতিকে সংকটময় পরিস্থিতিতে একটি শক্ত বার্তা হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন হামলার পর ইরানে উত্তেজনা বেড়েছে। খামেনির এই প্রকাশ্য উপস্থিতি দেশবাসীকে স্থিতিশীলতার বার্তা দিতেই বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, খামেনিকে স্বাগত জানাচ্ছেন উপস্থিত মুসল্লিরা ও স্লোগান দিচ্ছেন, আমাদের রক্ত আমাদের নেতার জন্য।
ভিডিওটি রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রে অবস্থিত ইমাম খোমেইনি মসজিদে ধারণ করা হয়, যেটি ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতার নামে নামকরণ করা।
খামেনি সর্বশেষ জনসম্মুখে এসেছিলেন ১৩ জুনের আগে। যখন তিনি সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর ইসরায়েলের আকস্মিক বিমান হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়, যা ১২ দিন ধরে চলে।
গত সপ্তাহে তিনি একটি রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণে বক্তব্য রাখলেও জনসম্মুখে হাজির হননি।
ইসরায়েল দাবি করে, তারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি প্রতিহত করতেই হামলা চালিয়েছে। যদিও তেহরান সব সময়ই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইরানের বিচার বিভাগ জানায়, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯০০ জন নিহত হয়েছেন, অন্যদিকে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন।
