জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক


পলাতক আসামি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জব্দ করা সম্পত্তি গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তিনি গুম ও হত্যার একাধিক ঘটনায় জড়িত থাকার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন—যিনি গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন।
তদন্তে উঠে এসেছে, গাজীপুরে তার পরিবারের দখলে থাকা জমির পরিমাণ তাদের ক্রয়সংক্রান্ত নথির তুলনায় বহুগুণ বেশি। জমির মালিকানা ও বাজারমূল্য সম্পর্কেও রয়েছে অসংগতি ও প্রতারণার অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এসব জমি নিয়ে অবৈধ লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে, যা আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের ফাওকালে সুরক্ষিত তারিক সিদ্দিকের বাগানবাড়ির ভেতরে ডুপ্লেক্স ভবন, বিশাল পুকুর ও গাছপালা। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা ও টাকশালের পাশেই তাঁর সম্পদ অন্তত ২২ বিঘা। কিন্তু নথিতে জমি মাত্র পাঁচ বিঘা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, গাজীপুর সদরের বাঙ্গালগাছায় তারিক সিদ্দিকীর ভাই রফিক সিদ্দিকের নামে আরেকটি বাগানবাড়ি রয়েছে। বিশাল এ বাড়িটি নথিতে ৭৮ শতাংশ হলেও দখলে ১০ গুণেরও বেশি।
গাজীপুরের কানাইয়া ভূমি অফিসের তথ্যমতে, টিউলিপস টেরিটরির ২ একর ৬৩ শতাংশ জমির মালিক তাঁর আরেক ভাই শফিক আহমেদ সিদ্দিক। যা শেখ রেহানার বাড়ি নামেই পরিচিত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নথি বলছে, গাজীপুরে তারিক সিদ্দিকের বাগানবাড়ি দুটি। ঢাকার গুলশানে একটি সাত তলা বাড়ি। বসুন্ধরায় তিনটি প্লট তাঁর ও স্ত্রীর নামে। বারিধারায় চারটি ফ্ল্যাট ও একটি ফ্ল্যাটের একাংশ। গাজীপুরে আরেকটি সাত তলা বাড়ির চার ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়াও গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তারিক দম্পতির ৪৮ বিঘা জমি।
৫ আগস্টের পর গুম-খুনের পতালক আসামি তারেক সিদ্দিকের গাজীপুরের জমি গোপনে বিক্রির কথা জানান স্থানীয়রা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো সরকারি চাকরিজীবীর এত সম্পদ সন্দেহজনক। এরইমধ্যে জব্দ সম্পদ বিক্রির তথ্য দ্রুত খতিয়ে দেখা দরকার।
