ওভাল অফিসে অপ্রীতিকর মুহূর্ত, জুকারবার্গকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ


মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গকে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে ‘বেরিয়ে যেতে’ বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সময় কোনো এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে, জুকারবার্গকে সরাসরি অফিস ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।
এনবিসি নিউজ সূত্র এই ঘটনাকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বিব্রতকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে ঠিক কোন প্রসঙ্গে বা কোন সময় এই ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে মেটা বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বৈঠকের সময়, যেখানে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকে আলোচনা হচ্ছিল এয়ার ফোর্সের নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রকল্প নিয়ে।
সূত্র জানায়, বৈঠকের মাঝখানে জুকারবার্গের উপস্থিতিতে সেখানে থাকা সামরিক কর্মকর্তারা বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ, তিনি ওই বৈঠকের অনুমোদিত সদস্য ছিলেন না এবং তার কাছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্রও ছিল না। ফলে তাকে অবিলম্বে বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। একজন কর্মকর্তার ভাষায়, পুরো ঘটনা ছিল “বিজেয়ার ওয়ার্ল্ড”-এর মতো, অর্থাৎ সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও অবাস্তব পরিস্থিতির মতো।
তবে এই ঘটনার ভিন্ন একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল। তারা জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনাটি অতিরঞ্জিত ও ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তার ভাষ্য মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুরোধেই জুকারবার্গ সেখানে ঢুকে শুধু সৌজন্যমূলকভাবে ‘হ্যালো’ বলেন এবং পরে নিজে থেকেই বেরিয়ে যান। কারণ, তার সঙ্গে ট্রাম্পের একটি নির্ধারিত আলাদা বৈঠক ছিল, যা হওয়ার কথা ছিল সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর।
মার্ক জুকারবার্গের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই জটিল। একসময় তিনি অভিবাসনপন্থী এবং ডেমোক্র্যাটিক দলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেগা (Make America Great Again) কর্মসূচির প্রতি তার সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন জুকারবার্গ, যেখানে আরও ছিলেন জেফ বেজোস ও ইলন মাস্ক। তবে ইদানীং মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন সূত্র।
