গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন একসাথে অযৌক্তিক : ডা. সৈয়দ তাহের


জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রক্রিয়া, যা একদিনে করার প্রস্তাব অযৌক্তিক এবং আলোচনার বাইরে।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ডা. তাহের এই মন্তব্য করেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সময়সূচি নিয়ে চলমান আলোচনার প্রেক্ষাপটে, যেখানে একাধিক পক্ষ একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার প্রস্তাব তুলে রেখেছিল।
তিনি মনে করিয়েছেন, ভোটপ্রক্রিয়া ও আইনগত পদক্ষেপ স্বচ্ছ ও যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়া জরুরি, যাতে ভোটাররা নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে অংশ নিতে পারেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, বিএনপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে আগে দ্বিমত করলেও পরে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এজন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, যেসব বিষয়ে আমরা এক জায়গায় আসছি এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেসব বিষয়কে একটি প্যাকেজ করে তার ওপরে গণভোট হবে। গণভোট কখন হবে– এ নিয়ে আবার আমাদের ভেতরে কিছুটা ডিফারেন্স আছে। আমরা বলেছি, গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়।
‘গণভোটের এমন কিছু দিক আছে, যেগুলো যদি হ্যাঁ/না ভোটে না হয়, তাহলে তার ভিত্তিতে নির্বাচনের ক্যারেক্টারে কিছু পরিবর্তন হবে। যেমন আপার হাউস (উচ্চ কক্ষ) বা পিআর পদ্ধতি। নির্বাচনের আগেই ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্তের আলোকে জাতীয় নির্বাচনে আপার হাউজের ভোট হবে। যদি এটি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই হয়, তাহলে তো আপার হাউস নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আর পাস হলো না’– বলেন এ জামায়াত নেতা।
তিনি বলেন, একদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে ভোট কাস্টিং একেবারেই অপ্রতুল হবে। কারণ, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের কোনো গুরুত্বই থাকবে না।
ডা. তাহের বলেন, আশা করি, ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাব এবং এর কোনো অনিশ্চয়তা আমরা দেখি না।
