মেসির ফুটওয়ার্কে মিয়ামির গোল উৎসব


সিনসিনাটির বিপক্ষে গোল করতে পারেননি লিওনেল মেসি, আর সেই ম্যাচে থেমে যায় ইন্টার মিয়ামির টানা জয়রথ। মাঝমাঠে ছন্দহীনতা, আক্রমণে ধার কমে যাওয়ায় হারের মুখ দেখতে হয় হাভিয়ের মাশ্চেরানোর শিষ্যদের। তবে সেই ধাক্কা সামলে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি।
পরের ম্যাচেই আবারও দেখা মিলেছে মেসি ম্যাজিকে। গোল পেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার, সঙ্গে দলও দেখিয়েছে দারুণ রকমের সমন্বয়। প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ইন্টার মিয়ামি জিতেছে একপাক্ষিক ব্যবধানে—৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
ম্যাচজুড়েই বলের দখলে ছিল ইন্টার মিয়ামির আধিপত্য। আক্রমণভাগে মেসি ছাড়াও নজর কাড়েন লুইস সুয়ারেস ও সার্জিও বুসকেতস। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মেসির এক অসাধারণ থ্রু পাস থেকে গোল করেন সুয়ারেস, আর ম্যাচে নিজের নামের পাশে রাখেন এক গোল ও এক অ্যাসিস্ট।
দলের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সে মাশ্চেরানোর কণ্ঠেও শোনা গেছে স্বস্তির সুর। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, "সিনসিনাটির বিপক্ষে হারটা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছিল। আজ আমরা দেখিয়েছি, দল হিসেবে কতটা উন্নতি করতে পারি।"
এই জয়ে লিগ টেবিলেও কিছুটা ওপরে উঠেছে ইন্টার মিয়ামি। তবে চ্যালেঞ্জ এখনও অনেক বাকি। মেসি ও তার দল জানে, ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
মেজর লিগ সকারে রেড বুলস অ্যারেনায় নিউইয়র্ক রেড বুলসকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে মিয়ামি। এক ম্যাচ বিরতির পর জোড়া গোল পেয়েছেন রেকর্ড গড়া মেসি। দুটি গোল করেছেন তেলাসকো সেগোভিয়া। বাকি গোলটি জর্দি আলবার। রেড বুলের হয়ে একমাত্র গোল অ্যালেক্সান্ডার হ্যাকের।
ঘরের মাঠে বল দখল, গোল শট, আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের কোথায়ও মিয়ামির সঙ্গে পেরে ওঠেনি রেড বুলস। ৬৪ শতাংশ বল পায়ে রেখে মেসিরা গোলে শট নিয়েছেন ২১ বার। লক্ষ্যে ছিল ৮টি। গোল এসেছে পাঁচটিতে। রেড বুলস ১১টি শটের দুটি রাখতে পেরেছিল গোলমুখে।
দুমড়েমুচড়ে দেওয়া এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে পাঁচে উঠেছে মিয়ামি। ২৪ ম্যাচ খেলে শীর্ষে সিনসিনাটি। বাকি চার দলও খেলেছে ২৪টি করে ম্যাচ। মিয়ামি সেখানে ২১ ম্যাচ খেলেই জমা করেছে ৪১ পয়েন্ট। বাকি তিন ম্যাচ জিততে পারলে শীর্ষে ওঠারও সুযোগ আছে মেসিদের।
রেড বুলস অ্যারেনায় এদিন অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৫ মিনিটেই আলেক্সান্ডার হ্যাক জাল খুঁজে পায়। যদিও ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি মিয়ামি। ২৪ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত পাস থেকে সমতা ফেরান আলবা। এরপর দাপট দেখিয়েছে মিয়ামি।
ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় মেসির উড়িয়ে মারা ক্রস বক্সে পেয়ে যান আলবা। এরপর তেলাসকো জড়িয়ে দেন জালে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তেলাসকো। ৩-১ ব্যবধানে বিরতিতে যাওয়া মেসিরা আক্রমণের ধার আরও বাড়ায়।
৬০ মিনিটের সময় নিজের প্রথম গোল করেন মেসি। সার্জিও বুসকেটসের লম্বা পাসের বল নিয়ে দুর্দান্ত দক্ষতায় গোল করেন। ১৫ মিনিট পর আবারও ম্যাজিক দেখান মেসি। দারুণ এক ভলি বুক দিয়ে ঠেকিয়ে পরে পরাস্ত করেন স্বাগতিক গোলরক্ষককে। তাতেই ৫-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসির দল।
