সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ৬ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬৪ জন: আইএসপিআর মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক ও সমবেদনা বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে দাঁড়াল ১৯ জনে উত্তরায় স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা বিমান বিধ্বস্তের সময় ক্লাস চলছিল জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: বিএনপির জরুরি সহায়তার নির্দেশ সম্মান রক্ষার নামে নৃশংসতা, পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ে ১১ জন গ্রেফতার ২০০৬ মুম্বাই বিস্ফোরণ: দীর্ঘ ১৯ বছর পর মুক্তি পেলেন ১২ জন উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ১ দশ দিনের মধ্যে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্য, সব দলের সহযোগিতা চাইলেন আলী রীয়াজ
  • জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

    রোববার (২০ জুলাই) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‌‘কমিশন না সার্বভৌমত্ব? সার্বভৌমত্ব সার্বভৌমত্ব;’ ‘গাজায় যখন মানুষ মরে, মানবাধিকার কী করে?;’ ‘মানবাধিকার কমিশন, মানি না মানব না;’ ‘শ্রীলঙ্কা যখন মানেনি, বাংলাদেশও মানবে না’সহ নানা স্লোগান দেন।

    সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের কর্মকাণ্ড দেশের নানা সেক্টরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করবে। এজন্য আমরা এর প্রতিবাদে মাঠে নেমেছি।

    সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সরকার যেন অতি দ্রুত জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সমঝোতা চুক্তি বাতিল করে।

    ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, আমার যে জুলাই অভ্যুত্থান করেছিলাম তার মূল মোটিভেশন ছিল হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন। তার বিভিন্ন সংস্থা, এজেন্সির মাধ্যমে শাসন করেছিল আমাদের। আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদী শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো আধিপত্য কায়েম করার জন্য বিভিন্ন দেশে তাদের সংস্থা স্থাপন করে।

    তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা স্থাপন করার মাধ্যমে তারাও এই আধিপত্য কায়েম করতে চাচ্ছে। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই চুক্তি বাতিল করার জন্য।

    বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থী জিয়াউল হক ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মিশন চালুর বিরোধিতা করার ৪টি কারণ উল্লেখ করেন। কারণগুলো হলো-

    ১. সার্বভৌমত্ব সমস্যা

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় দেশের অভ্যন্তরীণ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে। পররাষ্ট্রনীতিতে আমাদের স্বকীয়তা থাকবে না। মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল হবে। পাহাড়ের সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে। দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র পরিবর্তন তথা পরিকল্পিত ইহুদীবাদী খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠন তরান্বিত হবে।

    ২. মূল্যবোধ সমস্যা

    জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এলজিবিটিকিউ (সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার ইত্যাদি) এবং পতিতাবৃত্তির স্বীকৃতি ও ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে থাকে। যা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ ও প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষা সিলেবাসেও তারা এসব বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করবে। যার কারণে আমরা শিক্ষার্থীরা খুবই উদ্বিগ্ন।

    ৩. আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া

    যেসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপিত হয়েছে সেসব দেশের অন্তর্জাতিক স্ট্যাটাস অত্যন্ত নিম্নমানের। বাংলাদেশে এই অফিস স্থাপিত হওয়ায় দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিব্রতকর অবস্থায় পড়বে! সাধারণত যুদ্ধবিদ্ধস্ত ও চরম অস্থিতিশীল দেশগুলোতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপিত হয়ে থাকে। অথচ বাংলাদেশ ওরকম কোনো অবস্থায় নেই।

    ৪. মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হ্রাস

    ধর্ষক কিংবা খুনি যাদের শাস্তি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, এসব অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থেকে সরকারের উপর চাপ আসবে। ফলে দেশে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে এবং ফরিয়াদিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আরও পড়ুন