শ্রীপুরে ওএমএস ডিলারের কাছে চাঁদা দাবি ও সম্মানহানির অভিযোগ


গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া বাজার এলাকায় খোলা বাজারে খাদ্যপণ্য (ওএমএস) বিক্রয় কার্যক্রমে নিয়োজিত ডিলার মো. সেলিমের কাছে চাঁদা দাবি ও সামাজিকভাবে সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সেলিম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই সকাল ১০টার দিকে কেওয়া বাজারে চা পানকালে বাকপ্রতিবন্ধী রেজাউল করিম (৪২) ও তার সঙ্গে থাকা আরও ৫–৬ জন ব্যক্তি ডিলার সেলিমের নিকট প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
পরবর্তীতে অভিযুক্তরা কেওয়া বাজারের ওএমএস ক্রেতার চাল ও আটা সংগ্রহ করে রিকশায় তোলার সময় পরিকল্পিতভাবে মো. সেলিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি রেজাউল করিম তার নিজের নামে খোলা ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং ভুলভাল ক্যাপশন দিয়ে সেলিমের ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্ত ছড়ান। এতে সেলিমের সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদায় মারাত্মক আঘাত হানে বলে তিনি দাবি করেন।
ডিলার সেলিম আরও অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে অভিযুক্তরা তাকে আবারও হুমকি দিয়ে প্রতিদিন ৩০ কেজি চাল, ১০ কেজি আটা এবং ৩০০ টাকা দাবি করে। দাবি পূরণ না করলে তাকে মারধর করে ওএমএস ডিলারশিপ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ইঙ্গিতে চাল, আটা ও নগদ অর্থ দাবির বিষয়টি পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন।
সেলিম জানান, স্থানীয় একটি এতিমখানার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে কিছু চাল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা বেলাল হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। এ প্রসঙ্গে মাওলানা বেলাল জানান, “আমার এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু চাল দরকার ছিল। সিরিয়াল অনুযায়ী ছাত্রদের মাধ্যমে ৫ কেজি করে চাল এনে একটি বস্তায় ভরে মাদ্রাসায় নেওয়ার সময় কে বা কারা ভিডিও ধারণ করে অপপ্রচার চালায়। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও অনভিপ্রেত।”
ঘটনার পর খাদ্য কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সেলিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হলে তিনি তার জবাব দাখিল করেছেন বলেও জানান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক জানান, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
