রাঙ্গুনিয়ার অধিকাংশ সড়ক খানা খন্দকে ভরা


সাম্প্রতিক অতিবর্ষনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সড়ক ধসে গেছে। পানি কমে যাবার পর খানা খন্দকে ভরা সড়কগুলি চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন আন্তসড়ক গুলোর অধিকাংশ অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়। জোড়া তালি দিয়ে এগুলো মেরামত করা হলে কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক-কোদালা সরফভাটা মধ্যকার সংযোগ সড়ক হাজি সৈয়দ আলী সড়কের শিলক ব্যূহচক্র হাটের পূর্বে হামিদ শরিফ বালিকা বিদ্যালয়ের সম্মুখে বিশাল অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। উঠে গেছে সড়কের পিস, পাথর, খোয়া ও বালি। দ্রুত নদীর পাশে ব্লক বাঁধ না দিলে সড়কটি একটি অংশ যেকোনো সময় কর্ণফুলী নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
সম্প্রতি শিলক ইউনিয়নবাসী সড়ক মেরামতের দাবীতে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বরাবর স্মারক লিপি দিলে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে বালির বস্তা দিয়ে কিছু অংশ ধারক দেয়াল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু স্থায়ী মেরামত না হওয়ায় সড়কে ফাটল বেড়েই চলেছে। যানবাহন চলাচল এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অতিবৃষ্টির কারণে শিলক নতুন ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের একাংশ ভেঙে গেছে। ফলে রিকশা ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চা শ্রমিক, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অসংখ্য পথচারীসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে।
বেতাগী ইউনিয়নের প্রধান কোর্ট কাম আমিনউল্লা সড়কের পিচ ঢালাই সড়কে পিচ উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গোডাউন -পদুয়া কালিন্দীরানী সড়কের নারিশ্চা অংশে ২০ মিটার অংশে শিলক খালের পাড় আগেই থেকে ভাঙা ছিল, চলতি বর্ষায় আরো ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণের সৃষ্টি হয়েছে। এটি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার সাথে চট্টগ্রাম - কাপ্তাই সড়কে যোগাযোগের মূল সড়ক। তাছাড়া কদমতলীর পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা হাসেমখাল সড়কটি এখন বেহাল অবস্থা। সড়কের কাপ্তাই সংযোগ স্থান মাটি ও ব্রীজ দেবে গেছেে, এবং মাঝখানে রাস্তায় বেশ কিছু অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে, যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ দিকে উপজেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর - রানীর হাট ডিসি সড়কের শান্তিনিকেতন অংশে বড় বড় গর্তেের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে গোডাউন-পদুয়া কালিন্দীরানী সড়ক, বেতাগী আমিনউল্লা সড়ক, হাজি সৈয়দ আলী সড়কসহ রাঙ্গুনিয়ার আভ্যন্তরীণ বিধ্বস্ত সড়ক গুলো মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার এ সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের কিন্তু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। যাতায়াতে খুব কষ্ট পোহাতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা গুলো ভয়ংকর রূপ ধারণ করে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম বলেন, "আমাদের সড়ক সংস্কার কাজ চলমান আছে। লোকবল সংকটের কারণে সবগুলো কাজ তো আর একসাথে করা যাচ্ছে না, এরপরও খানা খন্দকগ্রস্থ মেজর সড়কগুলোর সংস্কারের কাজ দ্রুত করে দেবো। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন নতুন সড়ক নির্মাণ এবং পুরাতন সড়ক মেরামতের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব পাশ হলে ক্রমান্বয়ে সবগুলো সড়ক উন্নয়ন ও মেরামত করা হবে।"
