রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ জলবায়ুর চ্যালেঞ্জে নারীর বিকল্প আয়ের পথ পরিবারকে দিচ্ছে নিরাপত্তা গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সময় লাগছে: ডা. জাহিদ প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা হতাশাজনক : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রাজিলিয়ানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জমে উঠল ঢাকার স্টেডিয়াম আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের গ্রুপ প্রতিপক্ষ ঘোষণা : বিশ্বকাপ ২০২৬ ৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরলেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আদ্দিস আবাবায় নতুন ই-পাসপোর্ট সুবিধা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: মোদী
  • হাইকোর্টের রায়ে বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল

    হাইকোর্টের রায়ে বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এই আদেশ আদালতে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে দেওয়া হয়।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

    গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ ‍দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    সেদিন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার কাজী সামান্তা এনাম, অ্যাডভোকেট আমিনুজ্জামান সোহাগ, অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।

    এর আগে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করা হয়।

    বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক মালিক সমিতি এ রিট দুটি দায়ের করে। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা গড়ে তোলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন। 

    কিন্তু নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। আগের প্রস্তাবের তুলনায় শুধু সীমানা পরিবর্তন করা হয়। এর পর থেকেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে। 

    চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।

    ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন