হাজারীবাগে ভিডিও ভাইরাল, নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
.jpg)

রাজধানীর হাজারীবাগের গণকটুলি সিটি কলোনিতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করতে দেখা যায় সাবা নামে এক নারীকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ইয়াবা বিক্রির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে বিষয়টি।
গতকাল রাতে সায়েন্সল্যাব ক্যাম্প সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে সাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে হাজারীবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবা পূর্বে নারায়ণগঞ্জের টানবাজার এলাকায় থাকতেন। পরবর্তীতে হাজারীবাগের মাদক ব্যবসায়ী দিপুকে বিয়ে করে বর্তমানে রাজধানীতে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ইয়াবা এনে গণকটুলি এলাকায় বিক্রি করে তিনি রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং অবৈধ অর্থে বাড়িঘর ক্রয় করেছেন। বর্তমানে সেই বাসস্থান ভাড়া দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাবার মা পূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং নারায়ণগঞ্জের টানবাজারের একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার মা-সহ পরিবারের একাধিক সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন মাদক ব্যবসায় জড়িত। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে, একই এলাকায় রোজি ওরফে মনুর শালী, স্বপন ওরফে বরিশাইলা স্বপন, সাঈদ, রিপন ওরফে মাদরি রিপন, কালন ওরফে ইয়াবা কালন, আক্তার ওরফে কেরামবোর্ড আক্তার, শুখি, সাবানা, লিটন ওরফে মুরগি লিটন, ইয়াসিন, সান্ত ওরফে ইয়াবা সান্ত, জুল্লা, ইউসুফ ওরফে গালকাটা ইউসুফ, আমির ওরফে গাঁজা আমিরসহ একাধিক ব্যক্তি প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদের সহযোগিতা করছে “সোর্স আমির” নামে পরিচিত এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সেনাবাহিনী, র্যাব ও ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজির একটি মামলায় তিনি দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
স্থানীয়রা দ্রুত এসব মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
