এনসিপি নেতাদের আগমন ঘিরে সাজসাজ রব সাতক্ষীরায়: শহিদ আসিফ চত্বরে নির্মিত হয়েছে বর্ণাঢ্য তোরণ


আজ শনিবার সাতক্ষীরায় আসছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)'র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ প্রায় দেড় শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। এই ঐতিহাসিক সফরকে ঘিরে সাতক্ষীরা জেলায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ইতোমধ্যে টাঙানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন ও শুভেচ্ছা পোস্টার। শহরের প্রাণকেন্দ্র শহিদ আসিফ চত্বরে তৈরি করা হয়েছে একটি বিশাল আকৃতির তোরণ, যা দৃষ্টি কেড়েছে পথচারী ও সাধারণ জনগণের।
তোরণে স্থান পেয়েছে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ছবি, এবং শোভাময় বার্তাগুলোয় ঝলমল করছে অতিথি বরণের উচ্ছ্বাস। জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এনসিপির নেতাদের এই সফর সাতক্ষীরায় প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্যোগ, যা দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করবে।
জেলার প্রধান সমন্বয়ক কামরুজ্জামান বুলু জানান, সকাল ৯টায় শহরের শহিদ আসিফ চত্বর থেকে কুমিরা বলফিল্ডে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে অতিথিরা বেলা ১১টার দিকে শহরে প্রবেশ করবেন এবং প্রধান পথসভা অনুষ্ঠিত হবে শহিদ আসিফ চত্বরে। এছাড়া শহরের ইটাগাছা হাট পর্যন্ত পদযাত্রা এবং পথে এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধনের কর্মসূচিও রয়েছে।
এসময় বিশেষভাবে জুলাই ২৪ আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান এবং বসার আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্টেজ, পানির সরবরাহ, মেডিকেল টিম এবং ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, “পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। এছাড়াও র্যাব ও সেনাবাহিনীও প্রয়োজনে মাঠে থাকবে। শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে সর্বোচ্চ নজর রাখা হবে। তবে কোথাও সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, এনসিপির এই সফরকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা শহর যেন রঙে-আলোর উৎসবে মেতেছে। রাজনৈতিকভাবে এটি একটি নতুন বার্তা, যা জেলার রাজনীতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
