বন্যাদুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, বন্ধ মোবাইল নেটওয়ার্ক


ফেনীতে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধের প্রায় ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বহু গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বন্যার কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। পানিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি, মিটার ও ট্রান্সফরমার ডুবে যাওয়ায় দুর্ঘটনা রোধে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ অস্থায়ীভাবে বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় দুর্যোগের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়ন, ফুলগাজী সদরের কিসমত ঘনিয়ামোড়া, উত্তর শ্রীপুর, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, উত্তর নিলক্ষ্মী, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, দেড়পাড়া, নিলক্ষ্মী, গোসাইপুর, মন্তলা, গাবতলা, কহুমা, জগতপুর ও পরশুরাম উপজেলার ধনীকুন্ডা, শালধর, বেড়াবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পশ্চিম ঘনিয়ামোড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প কিছু দিয়ে চলা যায় কিন্তু ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে না। এ পরিস্থিতিতে দেশে-বিদেশে অবস্থান করা আত্মীয়স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে যান। গত বছরের বন্যায়ও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল রাখলে মানুষের খুবই উপকৃত হতো।
এ নিয়ে পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, এ উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংযোগ দেওয়া হবে। তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সহসাই সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলার ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার।
