বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম

নির্বাচন কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ভোটের মার্কা শাপলা নয়

নির্বাচন কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ভোটের মার্কা শাপলা নয়
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

জাতীয় প্রতীক হিসেবে ঘোষিত ‘শাপলা ফুল’ কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে আর বরাদ্দ দেওয়া হবে না—এ মর্মে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৯ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, “নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। এটি নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে সিডিউলভুক্ত হচ্ছে না। আমরা নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো, যখন নাগরিক ঐক্য এবং নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শাপলাকে দলীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণের জন্য আবেদন করেছিল। নাগরিক ঐক্য তাদের পূর্ববর্তী প্রতীক ‘কেটলি’র পরিবর্তে ‘শাপলা’ গ্রহণ করতে চাইলেও কমিশন তা গ্রহণ করেনি। এনসিপিও তাদের নিবন্ধনের সময় একই প্রতীক দাবি করে।

নির্বাচন কমিশনের মতে, জাতীয় প্রতীককে রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তা রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। একটি জাতীয় প্রতীক যখন দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, তখন তার নিরপেক্ষতা ও মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শাপলাকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলভুক্ত প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

নির্বাচনি প্রতীক তালিকায় কোন প্রতীক থাকবে বা থাকবে না, তা নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে। এই তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়—বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় প্রতীক বরাদ্দের প্রয়োজন হলে।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই দেখছেন জাতীয় স্বার্থ ও প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি সচেতন ও আগাম প্রতিরোধমূলক (preventive) পদক্ষেপ হিসেবে। অতীতে জাতীয় প্রতীক বা চিহ্ন রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাবে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বিতর্ক ও বিভ্রান্তি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, নতুন প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকা দ্রুতই চূড়ান্ত করা হবে এবং আগাম নির্বাচন বা উপনির্বাচনের পূর্বে তা রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হবে।


এন কে/বিএইচ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ

আরও পড়ুন