বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj

গলফার সিদ্দিকুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিসিবি

গলফার সিদ্দিকুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিসিবি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

বাংলাদেশি ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং দুর্বলতা বহুদিন ধরেই আলোচনায়। দীর্ঘ ইনিংস খেললেও বড় শট খেলার ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়ছেন নিয়মিত। ছক্কা মারতে গিয়ে ব্যাটে পর্যাপ্ত জোরের অভাব, সঠিক টাইমিং না পাওয়া—এসব সমস্যা প্রায়ই ধরা পড়ে। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে দলকে পিছিয়ে দিচ্ছে এই ঘাটতি।

এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নতুন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ব্যাটারদের শক্তি ও শটের গভীরতা বাড়াতে এবার তারা হাত মিলিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান-এর সঙ্গে।

গলফের খেলায় ক্লাবের সুইং, ব্যালান্স এবং শরীরের ভর ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ—যা ক্রিকেটেও পাওয়ার হিটিংয়ে কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছে বিসিবি। সিদ্দিকুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটারদের হাতে ব্যাটের কৌশলগত ব্যবহার ও শক্তি বৃদ্ধির দিকেই নজর বিসিবির।

এ উদ্যোগ যদি সফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে গলফ ও ক্রিকেটের এমন আন্তঃসম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে বলে আশাবাদ বিসিবি সংশ্লিষ্টদের।

পাওয়ার হিটিংয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পিছিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। বড় শট খেলতে গিয়ে টাইমিং, ব্যাটের শক্তি এবং শরীরের ভারসাম্যের ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রায়ই। এই সমস্যার সমাধানে এবার নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

পাওয়ার হিটিং দক্ষতা বাড়াতে তারা এবার সাহায্য নিচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা পেশাদার গলফার সিদ্দিকুর রহমান-এর। কারণ, গলফ এবং ক্রিকেট—দু’টো খেলাতেই বল দূরে পাঠানোর ক্ষেত্রে সুইং, ব্যালান্স এবং কোর স্ট্রেংথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্রিকেটারদের জন্য গলফার সিদ্দিকুরের ওয়ার্কশপের পরিকল্পনা
বিসিবির এক উপদেষ্টার মাধ্যমে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা হয়। বর্তমানে মরক্কোতে অবস্থান করছেন তিনি, সেখান থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে যিনি এই উদ্যোগে যুক্ত ছিলেন, সেই সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি সম্প্রতি বিসিবির উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

তবু পরিকল্পনা থেমে নেই। সিদ্দিকুর জানিয়েছেন, সময় মিললে দেশে ফিরে বিসিবির সঙ্গে বসতে আগ্রহী তিনি। তবে এই ওয়ার্কশপ জাতীয় দলের জন্য নয়, প্রাথমিকভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে করার চিন্তা রয়েছে।

সিদ্দিকুর কী বলছেন?
“আমি তো ক্রিকেটার নই, তাই টেকনিক্যাল কিছু শেখাতে পারবো না। কিন্তু গলফে কীভাবে আমি বল মারি, কীভাবে শরীরের ভারসাম্য ও শক্তি ব্যবহার করি—এসব শেয়ার করতে পারি। ক্রিকেটাররা চাইলে সেখান থেকে কিছু গ্রহণ করতে পারবে।”

সিদ্দিকুর রহমান, যিনি দুইবার এশিয়ান ট্যুর জিতেছেন এবং বাংলাদেশের গলফকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করেছেন, মনে করেন অভিজ্ঞতার আদান-প্রদানের মধ্য দিয়েই বিভিন্ন খেলার মধ্যে শেখার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গলফারদের ব্যালান্স, ফোকাস এবং সুইং কৌশল থেকে ক্রিকেটারদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা থাকতে পারে। এই উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে এমন আন্তঃখেলাধুলাভিত্তিক সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত হতে পারে।


 


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন