উত্তরায় ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত, ট্রাক জব্দ


রাজধানীর উত্তরার আজমপুর এলাকায় ট্রাকচাপায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা মামা- ভাগ্নে (এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী)সহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করলেও গাড়ি চালককে আটক করতে পারেনি।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা পূর্ব থানার আজমপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফাহিম উদ্দিন বিন আহমেদ ওরফে অমিত (২২),খালাতো ভাই খাজা নাঈমুল হক (৩৩), ও তাদের মামা জাবেদ আলম খান (৫৬)। এদের মধ্যে অমিত আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী আর নাঈমুল হক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ছিলেন।
ডিএমপি'র উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্হানীয় লোকজন জানান, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী একটি পাথরভর্তি ট্রাক এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহতরা একই পরিবারের সদস্য। সম্পর্কে তারা মামা ভাগিনা। অমিত এবং নাইমুল হকের বাড়ি লক্ষীপুর। মামার বাড়ি ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বলে জানা গেছে।
এদিকে, মৃত নাঈমুলের মামাতো ভাই মো. শাকিল জানান, নাঈমুল পুরান ঢাকার নবাববাড়ি এলাকায় থাকতেন। নাঈমুলের খালাতো ভাই ফাহিম ও মামা জাবেদ খিলক্ষেত এলাকায় থাকতেন। ফাহিম কলেজ শিক্ষার্থী। ফাহিমের আরেক মামা গতরাতে কুয়েতমৈত্রী হাসপতালে মারা যান। সেখানেই আসছিলেন তারা। রাতে আজমপুর এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা।
ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, আজমপুর মোড়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর একটি ট্রাক উঠে গেলে ঘটনাস্থলেই দু'জন পুরুষ মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন পুরুষের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতদের বিস্তারিত নাম-ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর স্হানীয় থানা পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করলেও গাড়ি চালককে আটক করতে পারেনি । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে । এবিষয়ে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
