রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • একনেক থেকে জুলাই শহীদদের আবাসন প্রকল্প বাদ তীর্থযাত্রীদের হুড়োহুড়িতে মানসা দেবী মন্দিরে নিহত ৬ যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং থেকে ২৫ উড়োজাহাজ কিনবে সরকার বিএনপি ভবিষ্যতের রাষ্ট্র গঠনে টেকসই কাঠামোর লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে: মির্জা ফখরুল গাজার জন্য ১০ ঘণ্টার নীরবতা; মানবতা না কৌশলগত ছলনা? ময়মনসিংহে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল : আপিল বিভাগ গোপালগঞ্জে সহিংসতা: প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষণ দল আ.লীগের প্রধান কার্যালয় এখন 'ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট' চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা বৈষম্যবিরোধী ৫ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা শহীদদের আবাসন প্রকল্পে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪৫ গুণ বেশি
  • নয়াদিল্লিকে সংলাপের প্রস্তাব পাকিস্তানের:

    “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” বললেন শেহবাজ শরিফ

    “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” বললেন শেহবাজ শরিফ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    কাশ্মির, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বিস্তৃত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, “রাজনীতি ও কূটনীতিকে পেছনে ফেলে যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তা দুই দেশের জন্যই সীমাহীন দুর্ভোগ বয়ে আনবে।”

    ইসলামাবাদে আয়োজিত ‘ইয়োম-ই-তাশাকুর’ বা ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শেহবাজ বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এমন একটি সংলাপ চাই, যেখানে কাশ্মির ও নদীর পানি বণ্টন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে। সেই আলোচনার পর আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যৌথ তৎপরতা নিয়ে এগোতে পারি।”

    প্রধানমন্ত্রীর মতে, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। গত কয়েক দশকে ৯০ হাজার প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আমরা আর্থিকভাবে ১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।”

    সম্প্রতি ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে ‘অপারেশন বুনইয়ান উন মারসুস’ চালায় পাকিস্তান। এর সাফল্য উদযাপন করতে ইসলামাবাদে আয়োজন করা হয় ‘ইয়োম-ই-তাশাকুর’।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফসহ বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও সেলিব্রেটিরা।

    শেহবাজ বলেন, “আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি, কিন্তু তারপরও আমরা শান্তি চাই। যুদ্ধের আগ্রাসনের জবাব দিয়েছি ঠিকই, তবে আমরা চাই এই অঞ্চল শান্তিতে সমৃদ্ধ হোক।”

    তিনি সতর্ক করে বলেন, “দুটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যদি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে উপমহাদেশে বসবাসরত ১৬০ কোটির বেশি মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যে, কীভাবে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেটিও জানানোর কেউ থাকবে না।”


    গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পুরুষ পর্যটক নিহত হন। দায় স্বীকার করে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বার এক শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)’।

    এর জবাবে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়—যেমন সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল। জবাবে পাকিস্তানও আকাশসীমা বন্ধসহ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়।

    এরই মধ্যে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের ৫১ জন নিহত হন (১৩ জন সেনা ও ৩৮ জন বেসামরিক)। পাল্টা ‘বুনইয়ান উন মারসুস’ অভিযানে পাকিস্তানের দাবি, ভারতের ৫ সেনা ও ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

    এই উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে থেকে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।


    সূত্র:ডন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন