শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১,০৩৪ রোগী মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানিতে ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুদকের ৬ মামলা রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে সরকার ইসলামী দলগুলোর সতর্কবার্তা: কালকের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে ঢাকায় আন্দোলন ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির সংখ্যা ও তারিখ প্রকাশ বিনিয়োগকারীদের চাপ: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০,২১৯ পদে নিয়োগের প্রস্তুতি সম্পন্ন চূড়ান্ত খসড়ায় গুম করার অপরাধে কঠোর শাস্তি, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড মায়ামিতে মেসি পেল শহরের চাবি, “অবসরের আগে ফুটবল উপভোগই প্রধান” ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য বড় শাস্তি : কারাদণ্ড ও কোটি টাকার জরিমানা
  • দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

    দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
    ছবি: সংগৃহীত
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ১৬ বছর আগে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলায় আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন।

    রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেন।

    এদিন রায় শুনতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

     গত ১৯ আগস্ট দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য গত ২৮ আগস্ট নির্ধারণ করেন। তবে কয়েক দফা পেছানো হয় রায়ের দিন।

     ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে তার বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক ওই বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা তার গোপন করা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত হয়।

    এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

     প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন বলে উল্লেখ করা হয়। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

    মামলাটি তদন্ত শেষ হলে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এস. এম. মফিদুল ইসলাম। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত থেতে আজ রায় এলো।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আরও পড়ুন