রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ জলবায়ুর চ্যালেঞ্জে নারীর বিকল্প আয়ের পথ পরিবারকে দিচ্ছে নিরাপত্তা গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সময় লাগছে: ডা. জাহিদ প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা হতাশাজনক : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রাজিলিয়ানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জমে উঠল ঢাকার স্টেডিয়াম আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের গ্রুপ প্রতিপক্ষ ঘোষণা : বিশ্বকাপ ২০২৬ ৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরলেন তারেক রহমান খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আদ্দিস আবাবায় নতুন ই-পাসপোর্ট সুবিধা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: মোদী
  • ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থাভাবে গাজায় টিকা বিতরণ বাধাগ্রস্ত

    ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থাভাবে গাজায় টিকা বিতরণ বাধাগ্রস্ত
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ইউনিসেফ জানিয়েছে, সিরিঞ্জ, ফর্মুলা দুধের বোতল ও টিকা সংরক্ষণের সরঞ্জামসহ জরুরি স্বাস্থ্য সামগ্রী গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে ৪৪ হাজার শিশুর টিকাদান কর্মসূচি বিপর্যয়ের মুখে, এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের হাম, পোলিও ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

    তহবিলের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে গাজায় শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। ইউনিসেফের অভিযোগ, শিশুদের টিকা দেওয়ার সিরিঞ্জ এবং ফর্মুলা দুধের বোতলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজায় পৌঁছাতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে সহায়তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে ফিলিস্তিনি শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ঝুঁকিতে রয়েছে সেখানকার শিশুরা। ইউনিসেফের উদ্যোগে টিকাদানের একটি কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৪৪ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু, ইউনিসেফ জানায়, টিকাদানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬ লাখ সিরিঞ্জ ও টিকা সংরক্ষিত করার ফ্রিজ গাজায় নিয়ে যেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। 

    ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘আমরা যতটুকু সহয়তা দিতে পারছি তা আরও বাড়াতে হবে। টিকা ও পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী গাজায় নিতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এই জিনিসগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রয়েছে।’

    ৩ দফায় চলবে এই টিকাদান কর্মসূচি। প্রথম দিনেই ২ হাজার ৪০০ শিশুকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে ইউনিসেফ। চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছালেও তা ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত ও অপুষ্টিতে ভোগা বাসিন্দাদের জন্য যথেষ্ট নয়।

    গাজায় টিকা বঞ্চিত শিশুর দাদি ঘাদা বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে আমার নাতি সময়মতো টিকা নিতে পারেনি। যুদ্ধ ও পরিবেশ দূষণের কারণে গাজায় এমন অনেক রোগ ছড়িয়েছে যা সম্পর্কে আমরা আগে জানতাম না। এই টিকাগুলো শিশুদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থার সহায়তায় ইউনিসেফ হাজারো শিশুকে টিকা দিতে পারবে বলে আশা করছে। টিকা বঞ্চিত এই শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

    ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘আগস্ট থেকে ৯ লাখ ৩৮ হাজার ব্যবহারযোগ্য শিশু খাদ্য সীমান্তে আটকে রয়েছে। এই খাবারের বোতলগুলো অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের কাছে পৌঁছানো যেত। গাজায় জরুরি চিকিৎসার পাশাপাশি ক্ষুধা থেকে মুক্তি পেতে আরো খাবার প্রয়োজন।’

    গাজায় ২ বছর ধরে যুদ্ধ চলার কারণে হাম, পোলিও এবং নিউমোনিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে স্থানীয় শিশুরা।


    দৈএনকে/জে, আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন