আদালতের কঠোর ব্যবস্থা: মানহীন পণ্যে তিন আমদানিকারক এখন আইনের মুখোমুখি

ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে শিশুসহ সবার জনপ্রিয় তিনটি খাদ্যপণ্যে মানের ঘাটতি ধরা পড়েছে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (BFSA) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (DSCC) সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এই খাদ্যপণ্যগুলোতে মান নিয়ন্ত্রণের নিয়ম না মানা হয়েছে এবং তা শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। মামলায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ের প্রক্রিয়ায় তলব করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য পরিদর্শকরা জানান, “নিয়মিত খাদ্য মান পরীক্ষা এবং নজরদারি কার্যক্রম চালু আছে। এরকম ঘটনা প্রতিরোধের জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত মান পরীক্ষা, HACCP স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ এবং সতর্ক কার্যক্রম নিতে হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) নুসরাত সাহারা বীথি মামলাগুলো আমলে নিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলাগুলো দায়ের করেন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোহাং কামরুল হাসান।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় মানসম্মত না পাওয়া পণ্যগুলো হলো—
নেসলে কিটক্যাট চকলেট, সরবরাহকারী: সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, মালিক মো. মোজাম্মেল হোসেন।
গোয়ালিনী ডেইলি ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার, আমদানিকারক: এস এ গ্রুপ, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন আলম।
দধি, উৎপাদন ও বিক্রয়কারী: আমানিয়া বেকারি এন্ড সুইটস, মালিক মো. শফিকুর রহমান।
পরীক্ষায় দেখা যায়, এসব পণ্যের গুণগত মান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এ ঘটনায় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে মামলাগুলো আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।