শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj

জুলাই সনদ বিতর্কে মুখ খুললেন ড. আযাদ

জুলাই সনদ বিতর্কে মুখ খুললেন ড. আযাদ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, জুলাই সনদ একটি অসম্পূর্ণ ও বিতর্কিত দলিল, যার কয়েকটি ধারা জাতির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এতে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যেমন ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কোনো উল্লেখ নেই। তিনি অভিযোগ করেন, দলিলটি দেশের গণমানুষের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। আযাদের দাবি, একমাত্র একটি রাজনৈতিক দল ছাড়া দেশের অন্য কোনো দল বা মহল এই সনদকে সমর্থন জানায়নি, যা এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাংলাদেশ লয়ার্স কাউন্সিল চট্টগ্রামের উদ্যোগে জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার নয়, শুধু নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব সুপারিশ অতি জরুরি, অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের পক্ষে নয়।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। আসন্ন নির্বাচন শুধু একটি নির্বাচন নয়; এটি একটি বিপ্লব-পরবর্তী জন–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের সুযোগ। ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মধ্য দিয়েই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, বার কাউন্সিলের রেকর্ড অনুসারে সারাদেশে আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় দেড়লাখ। মামলা রয়েছে প্রায় ৪৬ লাখ। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মামলা বেড়েছে। ইচ্ছে করে তাদের আইনজীবী মামলা গুলো ঝুলিয়ে রেখেছিল বিরোধী দলগুলোকে দমানোর জন্য।

তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনের ফসল এই জুলাই সনদ। আগামীর বাংলাদেশ হবে মানবিক, ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ। শর্টকাট আয়ের দিকে না গিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে আইনজীবীদের। যে যেই দলই করেন না কেন আমরা সিনিয়রদের সম্মান করে থাকি৷ তারাও সহযোগিতা করে থাকেন। আইনজীবীর মুখ্য দায়িত্ব বেঞ্চের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। অনৈতিকতার আশ্রয় নিলে ভবিষ্যতে সেসব আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তরুণ আইনজীবীদের সততার দৃষ্টান্ত রাখা উচিত। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইনজীবীদের ভূমিকা পালন করতে হবে।

বাংলাদেশ লয়ার্স কাউন্সিল চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালিকের সভাপতিত্বে ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন