বাঁধনের জন্য বেদনাদায়ক ‘মুজিব’ সিনেমা


বিগত সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। এটি দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম ব্যয়বহুল প্রজেক্ট, যার নির্মাণ খরচ প্রায় ৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৩ কোটি টাকা) হয়েছে। সিনেমাটি দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে।
সেই সিনেমায় দুবার অডিশন দিয়েও সুযোগ পাননি লাক্স তারকা আজমেরী হক বাঁধন। বাজেভাবে অপমান করে রিজেক্ট করা হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। নিজেই সেই কথা প্রকাশ্যে আনলেন বাঁধন।
‘মুজিব’ সিনেমায় প্রস্তাব পেলে কি অভিনয় করতেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাঁধনকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি তো অডিশন দিয়েছি। দুবার দিয়েছি। রিজেক্ট হয়ে অনেক কান্না করেছি। শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে তো ছিল। উনার মতো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা। আমাকে যখন রিজেক্ট করছে হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। যখন ট্রেলার বের হলো তখন আমার একটা কাজিন আছে খুব ক্লোজ, ওর নাম সামিয়া। ও আমাকে বলছিল, বাঁধন আপু আল্লাহ তোমার সঙ্গে সবকিছু ভালো করে। তা তুমি তা জানো। আমি তখন বলেছিলাম, ‘আমি জানি’। তখন আমার বোনটা বলেছে, ‘আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে তোমাকে এই রকম একটা সিনেমায় অভিনয় করো নাই।’ সেটা শুনে আমি এত কান্না করেছিলাম।
তিনি দাবি করেন, কষ্টটা ছিল ওরা শুধু আমাকে রিজেক্টই করেনি, বাজেভাবে অপমান করেছিল। পরে যখন ট্রেলার এলো, ছবি এলো সবার কথা শুনে মনে হলো কাজটা না করে ভালো হয়েছে। খুশি হয়েছিলাম যে তারা আমাকে রিজেক্ট করেছিল।
মুক্তির পর থেকেই ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল থাকায় সেসময় অধিকাংশ চলচ্চিত্রবোদ্ধাই এ ছবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ। তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। সিনেমার অন্য চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী।
দৈএনকে/জে, আ
