দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির সর্বনিম্ন পরিসংখ্যান


জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ১৬ শতাংশ কমে ৬০.২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। পাশাপাশি, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যা ট্রাম্পের আমদানি শুল্কের প্রভাবের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
তবে ট্রাম্পের বিস্তৃত শুল্কনীতি যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জুলাই মাসে এই খাতের প্রবৃদ্ধি প্রায় থমকে গেছে এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন নতুন আমদানি কর খরচ বাড়াচ্ছে ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি জুন মাসে ছিল ২৭৭.৩ বিলিয়ন ডলার, যা মে মাসের তুলনায় কিছুটা কম। আমদানি নেমে এসেছে ৩৩৭.৫ বিলিয়ন ডলারে, যা মে মাসে ছিল ৩৫০.৩ বিলিয়ন।
ভোক্তা পণ্য ও শিল্প উপকরণের আমদানি কমেছে, যা শেষবার এতটা কম ছিল করোনা মহামারির মাঝামাঝি সময়।
আগস্ট ১-এর আগে ট্রাম্প একাধিক নোটিশ জারি করে বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ৭ আগস্ট থেকে ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর হবে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তের ফলে মোট গড় শুল্কহার ১৮.৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৩৪ সালের পর সর্বোচ্চ। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে এটি ছিল মাত্র ২-৩ শতাংশ।
দৈএনকে/জে, আ
