দত্তক শব্দ ব্যবহার নিয়ে ক্ষুব্ধ পরীমণি: ‘মেয়েটা আমার নিজের’


সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার আবারও নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও সন্তানদের নিয়ে যেসব সমালোচনা এসেছে, সেগুলো নিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণি সরাসরি মুখ খুলেছেন। দত্তক নেওয়া মেয়ে ও ছেলে রাজ্যের বিষয়ে উঠা নানা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে তিনি দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত জীবনে বাইরের মানুষের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ তিনি মোটেও পছন্দ করেন না।
নিজের পোস্টের শুরুতে পরীমণি বলেন, ‘আমাদের সবার জীবনের আনাচে-কানাচে অতি উৎসাহী লোকদের অভাব নেই। তাদের জীবনের সমস্ত অভাব পূরণ হয় অন্যের জীবন নিয়ে চর্চা করে। মনে রাখবেন, আমরা যারা শোবিজ অঙ্গনে কাজ করি তাদেরও ব্যক্তিগত জীবন খুব সাদামাটা, সাধারণ সবার মতোই। আমার তো একদমই তাই।’
মূলত দত্তক মেয়েকে নিয়ে করা কিছু মন্তব্যের কারণে এই পোস্টটি দেন পরীমণি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে লেখেন, ‘ঘরের মধ্যে আমি চুলে একগাদা তেল মেখে আরাম করে ঘরের কাজ করতে থাকি। বাড়িতে বাচ্চাদের খাবার আমি রান্না করি (শারিরীক অসুস্থতা বা শুটিং এ না থাকলে) বাচ্চাদের যাবতীয় কাজ আমি নিজের হাতেই করি। আর বাচ্চারা তো আমার জীবনে আসলোই মাত্র তিন বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু এর আগে আমার নানা ভাইয়ের রান্না থেকে শুরু করে তার যাবতীয় কাজ আমি নিজের হাতেই করতাম।’
পইপই করে জীবনের সব কিছু জানাতে হবে উল্লেখ করে পরী বলেন, ‘এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত জীবন। কিন্তু কি অদ্ভুত ব্যাপার পাবলিক ফিগার বলে পইপই করে জীবনের সব কিছু জানাতে হবে আজকে আমার, নেন জানেন। কিছুদিন ধরে খেয়াল করলাম কিছু অবাঞ্ছিত মানুষ আমার মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তিত। রীতিমত পোস্ট করছে আমাকে ট্যাগ করে, কমেন্ট করছে আমার পোস্টে যে,” আপনার দত্তক মেয়েকে তো দেখি না আর।’
‘কই সেই দত্তক মেয়ে! এরকম নানান ধরনের কথা আর কি। ভাই, প্রথমত মেয়েটা আমার মেয়ে। কথায় কথায় দত্তক দত্তক বলে এদের কি মজা লাগে আমি সত্যিই বুঝি না। আমি এটাও খেয়াল করেছি আমার মেয়ের ছবি/ ভিডিও দিলেই কিছু মাথামোটা লোকজন কন্টেন্ট পেয়ে যায় ব্যাস। দত্তক শব্দটা দিয়ে একটা ক্যাপশন দেয় আর ভিউ ব্যবসা শুরু করে। আমার মেয়ে কোনো বিজনেস এলিমেন্ট না এটা একদম ভালো মতো বুঝে নেন এখন থেকে।’
তার কথায়, ‘আমার ইচ্ছে হলে আমি আমার বাচ্চাদের ছবি দিবো না ইচ্ছে হলে দিবো না। এই সিম্পল কথাটা মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেন আরামছে। এই কমেন্টে কমেন্টে আমার বাচ্চাদের খুঁজবেন না আর। আমি আমার বাচ্চাদের খালে ফালায়ে দিছি হিহিহি খুশি? হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমার সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, অনুসারীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
দৈএনকে/জে, আ
