সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম

ফিজিওথেরাপিস্টের চোখে হাড় ও জয়েন্টের যত্নে ৭ কার্যকর উপায়

ফিজিওথেরাপিস্টের চোখে হাড় ও জয়েন্টের যত্নে ৭ কার্যকর উপায়
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

অনেকেই অল্প বয়সে হাড় ও জয়েন্টের যত্ন নিয়ে ভাবেন না। অথচ এই অবহেলার ফলেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ব্যথা, চলাফেরার কষ্ট, এমনকি দৈনন্দিন জীবনে নানা বাধা। মুম্বাইয়ের কে জে সোমাইয়া কলেজ অব ফিজিওথেরাপির সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রাচী সারভাইয়া বলেন, কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললেই বার্ধক্যেও জীবন হতে পারে আরামদায়ক ও ব্যথামুক্ত।

হাড় ও অস্থিসন্ধি ভালো রাখার ৭টি সহজ উপায়

১. ব্যথাকে অবহেলা করবেন না

শরীর ব্যথা, জড়তা বা ফোলা দিয়ে সংকেত দেয় এগুলো কোনোভাবেই অবহেলার নয়। অনেকেই মনে করেন বয়স বাড়লে এসব স্বাভাবিক, কিন্তু তা ভুল। বরং শারীরিক সক্রিয়তা, ভঙ্গিমা, খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন অভ্যাসই হাড় ও অস্থিসন্ধির স্বাস্থ্য নির্ধারণ করে।

২. প্রতিদিন শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন

নিয়মিত হালকা বা মাঝারি মানের ব্যায়াম হাড় ও অস্থিসন্ধিকে শক্তিশালী রাখে। হাঁটা, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম, নাচ কিংবা খেলাধুলা যেকোনো কিছুই হতে পারে আপনার উপায়। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ৩০ মিনিট করে সময় দিন। ব্যায়ামের আগে ও পরে স্ট্রেচিং ও ওয়ার্ম-আপ অবশ্যই করুন।

৩. সুস্থ ওজন বজায় রাখা

ওজন বেড়ে গেলে অস্থিসন্ধির উপর চাপ পড়ে। সুষম খাদ্য ও ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সকালের সূর্যালোকে থাকুন ও ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খান।

৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

পানি কার্টিলেজকে কোমল ও লুব্রিকেটেড রাখতে সাহায্য করে, ফলে অস্থিসন্ধিতে ঘর্ষণ কম হয়। দিনে অন্তত ১০–১২ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৫. সঠিক ভঙ্গিমা চর্চা করুন

দীর্ঘদিন ভুলভাবে দাঁড়ানো, বসা বা ঘুমালে পিঠ ও অস্থিসন্ধিতে সমস্যা হয়। তাই সবসময় সোজা হয়ে বসুন, কাঁধ সোজা রাখুন। কর্মক্ষেত্রে সঠিক চেয়ার ও ডেস্ক ব্যবহার করুন।

৬. সঠিক নিয়মে চলাফেরা

গোছলঘরে পড়ে যাওয়া বা হঠাৎ করে ভারী কিছু তোলার সময় অস্থিসন্ধির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই হাঁটার সময় উপযুক্ত জুতা পরুন, বসে কিছু তুলতে হলে হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন পিঠ দিয়ে নয়।

৭. জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন

ধূমপান ও মদ্যপান হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়, হাড় ভেঙে গেলে আরোগ্য বিলম্বিত করে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি সবজি, ফল, প্রোটিন ও দুধজাতীয় খাবার নিয়মিত খেতে চেষ্টা করুন।

জীবনের ছোট ছোট সচেতনতা ও অভ্যাসের পরিবর্তনেই সুস্থ বার্ধক্য নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই শরীরের সংকেত বুঝে, দেরি না করে হাড় ও অস্থিসন্ধির যত্ন নিতে শুরু করুন এখনই।


দৈএনকে/জে, আ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন