পঁচাশি হাজার টাকা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির গাঁটরিতে


পটুয়াখালীর দশমিনায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে গোসল করাতে গিয়ে পাওয়া গেছে প্রায় পঁচাশি হাজার টাকা। বুধবার বিকালে দশমিনা উপজেলা সদরের মানিক মিয়া চত্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রদল মানবিক সংগঠনের কর্মীরা টাকা দশমিনা থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন অসুস্থ্য ওই ব্যক্তির প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস যাবৎ ভবঘুরে হিসেবে উপজেলার চেযারম্যান মার্কেটের এরশাদ হোসেনের চায়ের দোকানের পাশে জীবন করে আসছেন। বাহারি পোশাকে দুইটি গাঁটরি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। মানবিক সংগঠন নামে একটি সংগঠন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় হতদরিদ্র ও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করা এ সংগঠনের কর্মীরা বুধবার বিকালে চুল কেটে গোসল করাতে গিয়ে দেখেন তার কাপরের ব্যাগে ও পরনের পোশাকের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমান টাকা। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দেখা যায় ৮৪ হাজার ৬২৫ টাকা।
ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি বলেন, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ঘোষখালী গ্রামে তার বাড়ি। আল্লাহ্ মালেক সাই নাম তার বলে তিনি দাবী করেন। তার ভাষ্য, মানুষজন যা দিত তা তিনি এভাবে জমা রাখতেন।
উপজেলার দিগন্ত সড়কের বাসিন্দা আহম্মেদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন, তাকে সব সময় এরশাদের দোকানের পাশে বসে থাকতে দেখতাম। তাকে খাওয়াতে চাইলে তিনি বলতেন আমাকে একবেলা খাওয়াতে ২৮ শ’ ৩হাজার টাকা লাগে।
এ বিষয়ে মানবিক সংগঠনের সভাপতি আবুল বসার জানান, পাগলের বেশে সমাজে অনেক অপরাধী থাকতে পারে। আমরা শুধু অসহায়দের সহায়তা করেই থেমে নেই। সমাজের জন্য সচেতনতা কাজও করি। আমরা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি চুল কেটে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরাতে গিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় পঁচাশি হাজার টাকা পাওয়া যায়। পরে ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে সহ টাকা থানায় নিয়ে নগদ ৮৪হাজার ৬২৫টাকা থানায় জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক ইমাম মেহেদি বলেন, ছাত্রদল মানবিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল বসার সহ কয়েকজন মিলে ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ৮৪হাজার ৬২৫টাকা থানায় জমা দিয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানায় আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
