পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে জরিমানা, জব্দ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন


পরিবেশ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে আজ সারা দেশে একযোগে পরিচালিত হয় অভিযান। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালিত হয়।
নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বান্দরবান এবং ঢাকার পলাশী মোড়, চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় ৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের দায়ে ১২টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে জব্দ করা হয় ৪ হাজার ৫৬০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন।
ঢাকার চকবাজার, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় বিশেষ নজরদারি ও রেকি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি দোকান মালিক, সুপারশপ এবং সাধারণ জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
একই দিনে নীলফামারী জেলায় শব্দ দূষণবিরোধী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। এতে ২টি মামলায় ১,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ২টি হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করা হয়। অভিযানে সংশ্লিষ্ট চালকদের সতর্ক করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের আরেকটি অভিযানে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ২৯৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এই সময়কালে মোট ৩ হাজার ১৭০টি মামলায় ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান চলাকালে ৪৮৪টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে ফেলা হয় এবং সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ২১৬টি ইটভাটার বিরুদ্ধে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়, এবং ১৩৩টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া ১৬টি নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয় এবং ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযান চলাকালে ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
পরিবেশ দূষণ রোধে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে ১২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ট্রাকভর্তি সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।
