ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব ফল


ফল মানেই পুষ্টিকর খাবার। আর ফলে নিঃসন্দেহে পুষ্টিগুণ ভরপুর আছে। তবে সবার জন্য সব ফল উপযোগী নয়। ফাইবারসমৃদ্ধ ও কম ক্যালোরির ফল ওজন বশে রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু জানেন কি, সব ফল ওজন কমায় না। ওজন কমাতে চাইলে ভিন্ন ভিন্ন ফল খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোন কোন ফল খাবেন তা জেনে নিন। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে ডায়েট মেনে চলুন। আর সেই খাবারের তালিকায় স্থান পায় রকমারি ফলও। কারণ ফল একাধারে যেমন পানির ঘাটতি দূর করতে পারে, তেমনই এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আবার দেখা গেছে, কয়েকটি ফল খেলে ওজন বাড়তেও পারে। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি, রক্তে শর্করাও; তাদের বুঝেশুনে ফল খেতে হবে। এমন কিছু ফল আছে, যাতে শর্করার মাত্রা খুব বেশি, খেলেই চড়চড় করে সুগার বাড়বে। কোন কোন ফল খেলে সুগার বাড়বে জেনে নিন-
কলা : পাকা কলায় ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম কলায় ১১৭-১২০ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়। তাই কলা ওজন বৃদ্ধিতেই সাহায্য করে। তবে এতে পটাশিয়াম, ভিটামিনও থাকে প্রচুর পরিমাণে। ওজন কমাতে চাইলে কলা বুঝেশুনেই খেতে হবে।
আম : অনেকেরই প্রিয় ফল আম। আর আম খেলেও ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যায়। অনেকেই এটা শুনে হতাশ হতে পারেন। কিন্তু এক কাপ আমে রয়েছে প্রায় ৯৯ ক্যালোরি। ফাইবারের পরিমাণও বেশি। কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। রোগা থাকতে তাই বেশি আম না খাওয়াই ভালো। এছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীদেরও আম বুঝেশুনে খেতে হবে। খুব ইচ্ছা হলে দিনে দুই টুকরোই যথেষ্ট। তার বেশি নয়। তবে প্রতিদিন আম খেতে শুরু করলে সুগার বেড়ে যেতে পারে।
লিচু : লিচু যেমন ভিটামিন সি, পলিফেনল ও কপারে ভরপুর, তেমনই এতে প্রাকৃতিক চিনির মাত্রাও বেশি। ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৫.২ গ্রামেরও বেশি চিনি থাকে। তাই লিচু বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আনারস : অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আনারস যত্ন নেয় শরীরের। এতে পানির পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে আনারস দারুণ কার্যকর। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কম নেই। বেশি আনারস খেলে তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
দৈএনকে/জে, আ
