গাইবান্ধা থেকে শুরু হলো এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’


জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মানুষের কথা শুনতে জুলাইজুড়ে দেশের সব জেলায় মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি অংশ হিসাবে প্রথম গাইবান্ধা জেলায় এ কর্মসূচী পালন করেছে এনসিপি।
১ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধা পৌর পার্কের শহীদ মিনার চত্বরে এক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আবু সাঈদ লিয়ন, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি। একদলের পরিবর্তে আরেক দলের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার জন্য রাজপথে ছাত্র-জনতা রক্ত ঢেলে দেয়নি। জুলাই আন্দোলন ভয় ভেঙে দিয়ে আমাদের নির্ভয়ে কথা বলতে শিখিয়েছে। বৈষম্যের অবসান করতে সবাই আওয়াজ তুলুন। কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে নতুন দেশ হয়েছে, কিন্তু দেশ গঠন হয়নি। গাইবান্ধা থেকে সেই দেশ গঠনে যাত্রা শুরু হলো। আমরা নতুন দেশ গঠনের জন্য রাজপথে নেমেছি। নতুন দেশে মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নির্ভয়ে মতপ্রকাশ ও অধিকারের কথা বলবে।
এসময় স্থানীয়দের পক্ষে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে গাইবান্ধায় ইপিজেড ও শিল্প কারখানা স্থাপনের দাবি জানিয়ে সমাবেশে কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস বলেন, গাইবান্ধা জেলা জেনারেল হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার দাবী জানান।
এর আগে,১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে এনসিপি নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর সাদুল্যাপুর উপজেলা সদরে এক পথসভায় অংশ নেন তারা। গাইবান্ধায় সমাবেশ শেষে তারা সড়ক পথে পলাশবাড়ীতে এসে পৌর শহরে গণসংযোগ করে রংপুরে অভিমুখি রওনা হয়।
