ইউএসএআইডি কার্যক্রম বন্ধের প্রভাবে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিতে লাখো শিশু: ল্যানসেট


২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ অকাল মৃত্যুর শিকার হতে পারেন— এমন আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে সোমবার প্রকাশিত দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নাল-এ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সম্ভাব্য এসব মৃত্যুর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু, যাদের অনেকেই প্রতিরোধযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মার্চে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র ৮০ শতাংশের বেশি কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়। এই সিদ্ধান্তের প্রভাবও স্বাস্থ্যসেবার বৈশ্বিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ল্যানসেট প্রতিবেদনের সহ-লেখক ডেভিড রাসেলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য, এর ফলে যে ধাক্কা আসবে তা বিশ্বব্যাপী মহামারী বা একটি বড় সশস্ত্র সংঘাতের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন, এর আগে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে খরচ কমানোর উদ্যোগ হিসেবে, ফেডারেল কর্মী সংখ্যা কমাতে কাজ করেছিল।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে কাজ করেছে, যার বেশিরভাগই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে।
রুবিও বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে এখনও হাজারটা কর্মসূচি রয়েছে। যা কংগ্রেসের পরামর্শক্রমে ‘আরও কার্যকরভাবে’ পরিচালিত হবে।
গত মাসে, জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছিলেন, মার্কিন তহবিল কমানোর ফলে খাদ্য সহায়তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। যাতে কেবল কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরেই লাখো মানুষ ‘অনাহারে’ ভুগতে শুরু করেছে।
