শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

গাছ না কেটেও বন বিভাগের মিথ্যা মামলা, হয়রানির শিকার কাসাভা চাষি

গাছ না কেটেও বন বিভাগের মিথ্যা মামলা, হয়রানির শিকার কাসাভা চাষি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে কাসাভা চাষী মোস্তফা কামাল সহ নিরাপরাধ চাষিদের নামে গাছ কর্তনের মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের পুরতান ক্যাম্প এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কাসাভা চাষী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী নতুন পাড়া এলাকায় ৯০ বিঘা জমি তিনি মূল মালিকের কাছে পাওয়ার অব এটর্নি নিয়ে রপ্তানিযোগ্য পন্য কাসাভা চাষাবাদ করে আসছিলেন। এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। এই জমির পাশেই বন বিভাগের রোপন করা কিছু গাছপালা রয়েছে। এই জমির পাশে বন বিভাগের রোপন করা কিছু গাছপালা আছে। বন বিভাগ ১৯২৭ সালের বন আইনে আমাদের নামে কারণে অকারণে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজসে স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে ওই এলাকার অনেক সাধারণ কৃষক মজুরকে মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করছে বলে দাবি করেন তিনি।  

মোস্তফা কামাল বলেন, আমি একজন কাসাভা উদ্যোক্তা। এই এলাকায় কাসাভা চাষ করে সফল হয়েছি। আমি যে জমিটি চাষাবাদ করছি তা মূল মালিকের কাছে পাওয়ার নেয়া। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্রের সাথে যোগ সাজস্যে বন বিভাগের লোকজন আমাদের নামে গাছ কাটার মামলা দিয়েছে। আমি কখনো গাছের ডালও ছুঁয়ে দেখিনি। অথচ তারা আমার নামে এবং অনেক নিরাপরাধ মানুষের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি গণমাধ্যমেও আমার নামে মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এভাবে আমাকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। আমি বন বিভাগের এসব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তা কামনা করেন।  

দেবীগঞ্জ বনবিভাগের বটতলী বিটের কর্মকর্তা নুর নবী মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। আমি আসার আগেই মামলা হয়েছে। এই জমি বন বিভাগের। অনেকে মালিক দাবি করলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কেউ কোন কাগজ দেখা পারেনি।


আমির খসরু লাবলু, পঞ্চগড়
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন