বৈষম্যবিরোধী নেতার চাঁদাবাজি, চারজন সাত দিনের রিমান্ডে


রাজধানীর গুলশান এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদাবাজির ঘটনার তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক (রিয়াদ) সহ আরও তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। পুলিশের আবেদন বিবেচনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এই নির্দেশ দিয়েছেন।
রিমান্ডে নেওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং ইব্রাহিম হোসেন।
এর আগে আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রাজ্জাকসহ চারজনকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। অপরজন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার গুলশান থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, আসামিরা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকেন। মামলার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
গুলশান থানা–পুলিশ লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে, ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির নেতা আবদুর রাজ্জাক (রিয়াদ) ও কাজী গৌরব অপু সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বলতে থাকেন, টাকা না দিলে গ্রেপ্তার করাবেন। তখন শাম্মী আহমেদের স্বামী তাঁদের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেন।
আবার গতকাল আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করতে যান। খবর পেয়ে পুলিশ আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
