প্রেমের প্রথম বছরে নারীরা কীভাবে ভালোবাসা চান?


নারীর হৃদয়ে থাকে অনেক অনুভূতি ও প্রত্যাশা, যা অনেক সময় সে প্রকাশ করে না সরাসরি। একটি সুন্দর ও গভীর সম্পর্ক গড়তে চাইলে শুধু কথা নয়, বুঝতে হবে তার না বলা কথাগুলোও। ভালোবাসার ভিত্তি মজবুত করতে হলে প্রয়োজন আন্তরিকতা, বোঝাপড়া ও তার চাহিদার প্রতি সংবেদনশীলতা।
তাই জানুন সম্পর্কের প্রথম বছরে প্রেমিকের কাছ থেকে কী আশা করে প্রেমিকারা
নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন-
নারীরা প্রেমিকের কাছ থেকে নিঃশর্ত ভালোবাসা চান। এটাই তাদের প্রধান চাহিদা। তাই আজ থেকেই প্রেমিকাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসার কাজে লেগে পড়তে হবে। তাকে সারাক্ষণ মেসেজ দিন। ফোন করেও ভালোবাসার কথা বলুন।
গিফট দেবেন-
উপহার পেতে সকলেই ভালোবাসে। আর আপনার প্রেমিকাও নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম নন। তাই চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো মনের মানুষের জন্য একটা গিফট কেনার। তারপর হাসিমুখে তার হাতে সেই উপহার তুলে দিন। সেই সঙ্গে ভালোবাসার দু-কলি শুনিয়ে দিতে পারলে তো আরও দারুণ।
সম্মান দিলেই পাবেন ফেরত-
আজকালকার নারীরা স্বাধীনচেতা স্বভাবের হন। তাই তাদের দমিয়ে রাখতে গেলে অহেতুক সম্পর্কের বারোটা বাজবে। বরং চেষ্টা করুন প্রেমিকাকে সব সময় সম্মান দেওয়ার। এমনকী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তার মতামত মেনে নিয়েই আপনাকে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
মিথ্যা নয়-
আপনার কি খুব মিথ্যা বলার স্বভাব রয়েছে? তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এই অভ্যাসে বদল আনতে হবে। বিশেষত প্রেমিকাকে কিন্তু এক অক্ষরও মিথ্যা কথা বলা যাবে না। কারণ তিনি আপনার কাছ থেকে সবসময় সত্যি কথাই আশা করেন। অপরদিকে আপনি যদি তাকে মিথ্যা বলেন, আর সেই বিষয়টা যদি তিনি জানতে পারেন– তাহলে তিনি আপনাকে ছেড়ে যেতে দ্বিধা করবেন না।
সবার কাছে দেবেন পরিচয়-
মহিলারা সবসময় ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কাজ করেন। তাই তারা আশা করেন প্রেমিক ধীরে ধীরে তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে তাকে আলাপ করিয়ে দেবেন। আর এই কারণেই প্রেমের বয়স ১ হওয়ার আগে প্রেমিকাকে নিজের পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। নইলে তার হৃদয়ে বইতে শুরু করবে সন্দেহের হাওয়া। তখন আপনি আর সামলাতে পারবেন না।
দৈএনকে/জে, আ
