বিশ্ব ইজতেমার সময়সূচি পরিবর্তন, জানুয়ারির বদলে মার্চে আয়োজন

আগামী বছর জানুয়ারির পরিবর্তে মার্চ মাসে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাবলিগ জামাতের শুরা নেজাম। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।
তিনি জানান, জানুয়ারিতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে ইজতেমার সময়সূচি পেছানো হয়েছে। তাবলিগ জামাতের নেতারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মার্চে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
মুফতি আজহারী বলেন, “বিশ্ব ইজতেমা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। তাই নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দিক বিবেচনা করে আমরা সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে—প্রথম পর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন, দ্বিতীয় পর্বে যোগ দেবেন বিদেশি অংশগ্রহণকারীরা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত এই ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশগ্রহণ করে থাকেন, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ হিসেবে বিবেচিত।
সাদপন্থিরা এবারের ইজতেমায় সুযোগ পাবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, সাদপন্থিরা তাবলীগের আয়োজন করার কোনো অধিকার রাখে না। যদি করে সরকারকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং দৃশ্যমান হুকুমদাতাদের গ্রেপ্তারসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে জুবায়েরপন্থিরা অভিযোগ করেন, তাবলিগে হামলা সাদপন্থিদের মাধ্যমেই হয়েছে, এটা প্রমাণিত। তবে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
এছাড়াও নেতৃবৃন্দ বলেন, তাবলিগের কার্যক্রম শুরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধায়নেই হবে। এজন্য বিদেশি মেহমানদের যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা সহজীকরণ সংক্রান্ত পরিপত্র জারির আহ্বান জানান তারা।