রুবাবা দৌলা বিসিবি পরিচালনা পর্ষদে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে নতুন পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তাঁকে কাউন্সিলরের পদে মনোনীত করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি প্রদান করেছে। রুবাবা দৌলার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ২৫ সদস্যের বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ সম্পূর্ণতা পেয়েছে।
বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, “রুবাবা দৌলার অভিজ্ঞতা এবং নারী ক্রীড়া উন্নয়নে তার অবদান বিসিবিকে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবে। তিনি বোর্ডের নীতি ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রুবাবা দৌলার যোগদান নারী ক্রীড়া ও প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বিসিবির পরিচালক পর্ষদ এখন পূর্ণাঙ্গভাবে ২৫ সদস্য নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থায় এনএসসি মনোনীত কাউন্সিলর থাকেন দুজন। গত ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর এনএসসি যে দুজনকে মনোনয়ন দেয়, তাঁদের একজন ইসফাক আহসানকে নিয়ে সেদিনই বিতর্ক দেখা দেয়। আজ এনএসসির চিঠিতে ইসফাক আহসান ‘পদত্যাগ করেছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়।
ব্যবসায়ী ইসফাকের আওয়ামী লীগের পদে থাকা এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়টি আলোচনায় এলে এনএসসি তাঁর জায়গায় রুবাবাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে ৭ অক্টোবর প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তবে রুবাবা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব নেননি।
রুবাবা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।
রুবাবা দৌলা দীর্ঘদিন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। সেই সময় গ্রামীণফোন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১), আর ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনেও ভূমিকা ছিল রুবাবার।
আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা রয়েছে। রুবাবা দৌলা সভায় যোগ দিতে পারেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তিনি ছাড়াও মনোনীত অন্য কাউন্সিল ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।