ভ্রমণ সহজ করতে বিমানবন্দরের কিছু অজানা নিয়ম


বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিমানে চড়েন। কেউ যাচ্ছেন কাজের প্রয়োজনে, কেউবা নিছক বেড়াতে। তবে আপনি জানেন কি, বিমানবন্দরের এমন কিছু ‘লুকানো’ নিয়ম আছে। যা আপনার যাত্রাকে আরও সহজ আর ঝামেলামুক্ত করতে পারে।
অনেক সময় এই নিয়মগুলো জানা না থাকার কারণে যাত্রীদের পড়তে হয় বাড়তি ভোগান্তিতে। অথচ একটু খোঁজখবর নিলেই পাওয়া যায় বিশেষ সুবিধা, সাশ্রয় হয় সময় ও অর্থ দুটোই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৬টি গোপন নিয়ম, যা অনেক অভিজ্ঞ যাত্রীরও অজানা।
দীর্ঘ লে–ওভারে পাওয়া যায় বিনা খরচে হোটেল!
যদি আপনার ট্রানজিট বা সংযোগ ফ্লাইটের বিরতি হয় ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি, তাহলে কিছু আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন যেমন, কাতার এয়ারওয়েজ, তুর্কিশ এয়ারলাইন্স বা এমিরেটস, আপনাকে বিনামূল্যে হোটেল, খাবার এমনকি ছোটখাটো শহর ভ্রমণের সুযোগ দিতে পারে।
তবে এই সুবিধাগুলো সহজে বলা হয় না। নিজে থেকেই খোঁজ নিতে হয় এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটে বা কাউন্টার থেকে।
গেট এজেন্ট চাইলে আপনাকে ভালো সিটে বসাতে পারেন
আপনি যদি একা ভ্রমণ করেন, আর ফ্লাইটে বেশি ভিড় না থাকে। তাহলে গেট এজেন্টকে অনুরোধ করলে তারা আপনাকে জানালার ধারের সিট, এক্সট্রা লেগরুম বা এমনকি উন্নতমানের সিটে বসাতে পারেন। তাও আবার বিনামূল্যে! বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড সাধারণত কঠিন, কিন্তু মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমও ঘটে।
খালি পানির বোতল সঙ্গে নেওয়া বৈধ
নিরাপত্তা চেকপোস্টে পূর্ণ বোতল পানি নিয়ে যেতে না পারলেও একটি খালি বোতল নিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই। চেক পার হয়ে গেলে বিমানবন্দরে থাকা পানির স্টেশনে বোতল ভরে নিলেই হলো। এতে করে অতিরিক্ত দামে বোতলজাত পানি কিনতে হয় না।
ছোট গহনা খুলতে হয় না নিরাপত্তা চেকের সময়
অনেক যাত্রী ভুল করে চেন, আংটি বা কানের দুল খুলে ফেলেন নিরাপত্তা চেকের সময়। অথচ বাস্তবে ছোট ধাতব গহনা সাধারণত স্ক্যানারে বিঘ্ন সৃষ্টি করে না, তাই সেগুলো পরেই থাকা যায়।
কিছু এয়ারপোর্টে যাত্রী না হয়েও প্রবেশ করা যায় ভেতরে
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দর যেমন, পিটসবার্গ আন্তর্জাতিক ও সিয়াটল-টাকোমা এয়ারপোর্টে ‘ভিজিটর পাস’ নামে একটি বিশেষ সুবিধা চালু আছে। এতে করে আপনি যাত্রী না হয়েও নিরাপত্তা চেক পার হয়ে অভ্যন্তরীণ এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন। তবে সঙ্গে থাকতে হবে বৈধ পরিচয়পত্র ও প্রাথমিক অনুমতি।
হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া যায় অনলাইনে
অনেকেই ভাবেন, নিরাপত্তা চেক বা গেট এলাকায় কিছু হারালে তা আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগ বিমানবন্দরের রয়েছে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড বিভাগ। এমনকি টিএসএ (যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ)-এরও রয়েছে অনলাইন রিকভারি সিস্টেম।
যদি হারানো জিনিসটির ছবি আগে থেকে তোলা থাকে, তাহলে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
এই নিয়মগুলো প্রচার হয় না বলেই অনেক যাত্রীর অজানা থেকে যায়। অথচ এগুলো জানলে আপনি সময়, অর্থ এবং চাপ, সবকিছুই বাঁচাতে পারেন। তাই পরবর্তী বিমানযাত্রায় এই তথ্যগুলো মাথায় রাখুন।
দৈএনকে/জে .আ
