উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভেঙে গেছে নোয়াখালীর কয়েকটি উপজেলা


উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভেঙে গেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী বেড়িবাঁধ। এতে কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার প্রায় ১০ হাজার ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, ২৯ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেলায় ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উপকূলবর্তী হাতিয়া উপজেলায় ২-৪ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে নিঝুমদ্বীপ, চরঈশ্বর, চানন্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, চর এলাহী ও চরফকিরা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার ৩০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮নং চর এলাহী ইউনিয়নে জোয়ারের পানির চাপে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। নোয়াখালী জেলার পৌর এলাকাগুলোতেও তাৎক্ষণিক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নোয়াখালী জেলায় ৪৬৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৮৭১১ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ১০১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নোয়াখালী জেলায় ২৮২.৩৬০ টন ত্রাণের চাল, নগদ ১২ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগকবলিত উপজেলাগুলোতে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ৫২ টন চাল, নগদ ১ লাখ টাকা এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জানে আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চর এলাহীতে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লবণাক্ত পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। কিছু মাছের ঘেরও ভেসে গেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
দৈএনকে/জে,আ
