নবীগঞ্জে প্রাইমারি স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা


যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বিদ্যালয় ভবন! এরকম ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে চলছে উমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান।
জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ার ভাঙা ইউনিয়নের উমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৩ সালে স্থাপিত হয় । ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে চার কক্ষের একটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী , মেহেদী, মিতু, আয়শা ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন, রশ্নী, সাজিব জানায়, তাদের বিদ্যালয় ভবন জুরে ফাটল ধরেছে। দেয়াল, পিলার, ছাদ, মেঝে সবখানেই ফাটল। ওয়ালের বড় ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি শ্রেণীকক্ষে ঢুকে পড়ে। বই-খাতা ভিজে যায়। ভাঙা শ্রেণীকক্ষে পড়তে খুব ভয় লাগে। একটা নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে আনন্দে-আনন্দে পড়ালেখা করতাম।
জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন অভিভাবক বলেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা উচিত। আতঙ্কে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। ৫ম শ্রেণি কক্ষের ছাঁদে ও দেয়াল শ্রেণি কক্ষের ভেতরের দিকে ধসে পড়েছে।
৪র্থ শ্রেণি কক্ষের দেয়াল ও ছাঁদ ধসে গেছে এবং ফাঁটল দিয়েছে । প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের ছাঁদের রড বের হয়েছে। শ্রেণি কক্ষের বড় বড় ফাটল দিয়ে ভেতর ধসে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে যাচ্ছে।
উমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ মতিন বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করা করব ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোশাহিদ মিয়া বলেন, উমর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকলে বিদ্যালয়ের কেউ আমাদের জানায় নি, আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমি প্রকৌশলীকে বলে দিব।
