শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

পরিষদ সভায় বাধা: চরফ্যাশনে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পরিষদ সভায় বাধা: চরফ্যাশনে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার চরফ্যাসনে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের  নিয়ে নির্ধারিত মাসিক মিটিং  পন্ড করে দিলো দুর্বৃত্তরা। সড়কে দাড়িয়ে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ইউপি সদস্যদের পরিষদে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে ইউপি সদস্যদের দাবি , সচিব মিটিং ডেকে ফের তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে সে মিটিং পন্ড করে দেন। চেয়ারমান না থাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লুটপাটের মহাউৎসবকে আড়াল করতে ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউপি সচিব) মো. অহিদুর রহমান সভা পন্ড ও তার পালিত বাহিনী দিয়ে ইউপি সদস্যদের পরিষদে যেতে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ০৫ নম্বর ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য আবু জাহের সহ ৯ জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, ২০২৪ সনের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যরা নিয়মিত উপস্থিত স্বাক্ষর দিয়ে জনগনের সেবা দিয়ে আসছিলেন। গত এপ্রিল মাসে জিন্নাগড় ইউপি সদস্যরা ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবর ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন ইউপি সচিব অহিদুর রহমান। 

মঙ্গলবার  ইউপি সচিব সকল ইউপি সদস্যদের মাসিক মিটিংয়ে ডেকে পূর্ব পরিকল্পিত তার পালিত বাহিনী দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে পথ অবরুদ্ধ করে রাখেন। পাশাপাশি পালিত দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে মহড়া দিয়ে ইউপি সদস্যদের তাড়াঁ করে। 

সংরক্ষিত(৭,৮ ও ৯) নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ফাহমিদা সুলতানা ডলি জানান, পূর্বেও নির্ধারিত সময়ানুযায়ী আমি পরিষদেও সামনে গেলে আমাকে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে পরিষদ সংলগ্ন মুন্সি বাড়িতে আশ্রয় নেই। 

সংরক্ষিত  ( ৪, ৫ ও ৬ নম্বর) ওয়ার্ডের নারী সদস্য দিপালী রানী রায় জানান, পরিষদেও মিটিয়ে যোগ দিতে পরিষদের কাছাকাছি গেলে আমার সামনে লাঠি এবং অস্ত্র নিয়ে প্রায় শতাধিক যুবক মেম্বারদের চামড়া তুলে দিবো আমরা এমন স্লোগান দিতে দিতে আমাকে হামলা করতে আসলে আমি পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই। এতে ভয়ে  আতংকে পরিষদের মিটিংয়ে অংশ নিতে পারেনি ইউপি সদস্যরা। ধারণা করছি সচিবের নানান অনিয়ম আড়াল করতে তার পালিত বাহিনী দিয়ে আমাদেরকে পরিষদের যেতে বাধা দিছে। 

জিন্নাগড় ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউপি সচিব) মো. অহিদুর রহমান জানান, আমার  উপর আনিত অভিযোগটি সঠিক নয়। ওই দিনে মিটিংয়ের জন্য আমি ও পরিষদে গেলে বিএনপির কিছু লোকজন আমাকে ও গাল মন্দ করে পরিষদ থেকে বের করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।

জিন্নাগড় ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, আমি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য পরিষদে গিয়ে ছিলাম। তবে রাস্তায় কিছু লোকজনের সমাগম ছিল । তবে ইউপি সদস্যরা তাদেরকে পরিষদে আসতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। পওে আমি উধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। কতৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। 


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ