রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ইউএনও নিশাত তামান্নার পদায়নের বিতর্ক


বাংলাদেশের প্রশাসন কাঠামোতে যোগদান ও পদায়ন প্রক্রিয়া সাধারণত স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংযোগ, আত্মীয়তা এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রশাসনিক পদায়ন ও নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এই প্রতিবেদনে মনিরামপুর উপজেলার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার নিয়োগ ও তার প্রশাসনিক কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
নিশাত তামান্না। যিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান রাজিবের সহধর্মিণী। তার প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান ও পরবর্তী পদায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনে যোগদানের পর, তিনি বরিশাল সদর উপজেলার এসি ল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। পরবর্তীতে তাকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এরপর সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সুপারিশের মাধ্যমে তাকে মংলা উপজেলায় ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মংলা থেকে তিনি টাকার বিনিময়ে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পদায়িত হন।
মনিরামপুরে যোগদানের পর, নিশাত তামান্না ও তার প্রশাসনিক দলের সদস্যরা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে উপজেলাকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পরিণত করেছেন।
নিশাত তামান্নার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সুপারিশের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রশাসনিক প্রভাব ও রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে নিশাত তামান্নার নিয়োগ ও পদায়ন প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি প্রশাসন কাঠামোর স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রশ্ন তোলে।
